শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর 6জুন দক্ষিণ দিনাজপুরঃ-পুলিশে চরম হেনেস্থা স্বীকার হয়ে দুই নাবালিকা পুত্র ও কন্যা সন্তানদের ফিরে পেতে কোলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মা।কোলকাতা হাইকোর্টের বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বাসিন্দা ওই গৃহবধুর দুই সন্তানকে তাঁর মায়ের কোলে আগামী ১৪দিনের মধ্যে দিয়ে ফিরিয়ে দিতে পুলিশের ডিজিকে রুল ইস্যু করে ব্যবস্থা নেবার কথা বলেছে কোলকাতা হাইকোর্ট। কোলকাতা হাইকোর্ট ও গঙ্গারামপুর মহুকুমা আদালতের দুই নামকরা আইনজীবীরা জানিয়েছেন, হাইকোর্টের বিচারকের নির্দেশেই আগামী ১৪দিনের মধ্যে ওই গৃহবধুর কাছে তাঁর দুই সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে পুলিশের ডিজিকে রুল ইস্যু করেছে বিচারক। ডিজিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজটি করে রিপোট দিতে বলেছেন বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।নাবালক সস্তানদের ফিরে পেতে কোলকাতা হাইকোর্টের বিচারক পুলিশের ডিজিকে রুল ইস্যু করার ঘটনায় শোরগোল পড়েছে।এবার হয়ত খুব তারাতারি মা তাঁর পুত্র ও কন্যা সন্তানদের কোলে পাবে বলেন মনে করেছেন সন্তানহারা মা ও সহ তাঁর পরিবারের লোকজনেরা। সন্তানকে ফিরে পেতে কোলকাতা হাইকোর্টের বিচারক ডিজিকে রুল করার ঘটনায় শোরগোল করেছে।

বেশ কয়েক বছর আগে বুনিয়াদপুরের দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দার ঠিকাদার সৌম্যক সরকারের এর সঙ্গে বুনিয়াদপুরের এক স্কুল শিক্ষকের একমাত্র মেয়ে শিল্পী ব্যানার্জী সরকার ভালোবাসা করে বিয়ে করেন। সেখানে কিছুদিন ঠিকঠাক থাকলেও শিল্পীর অভিযোগ,এর পরেই শুরু হয় স্বামী সহ তাঁর শশুর বাড়ির লোকজনদের অত্যাচার বলে অভিযোগ তাঁর৷শিল্পীর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। শি

ল্পীর অভিযোগ, অত্যাচারের মাত্রা এমনভাবে বেড়ে যায় যে,ঠিকাদার স্বামী সহ তাঁর শশুর বাড়ির লোকজনেরা মিলে চরম অত্যাচার করে জীবনে শেষ করে দেবার পরিকল্পনা করেছে বারবার বলে অভিযোগ তাঁর।এর পরেই শিল্পী সেখান থেকে পালিয়ে প্রথমে বুনিয়াদপুরে ও পরে বালুরঘাটে গিয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয় বলে দাবি তাঁর ।তাঁর পর পরেই পুলিশে বিচার পেতে বংশীহারী থানা পুলিশের দ্বারস্থ হন শিল্পী বলেও দাবি তাঁর। দুই সন্তানকে ফিরে পেতে বালুরঘাটের সিডাবলুসির দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। শিল্পী দেবীর আরো অভিযোগ,বংশীহারী থানার পুলিশ আমার অভিযোগ গুলোকে ছোট করে দেখে বিবাদিদের করা মিথ্যা অভিযোগ আমাকেও বেশ কয়েকটি মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে বংশীহারী থানার পুলিশ বলেও অভিযোগ তাঁর।এমনকি থানার দায়িত্ব থাকা আধিকারিক অফিসে বসিয়ে দুটি সন্তানকে স্বামীর সঙ্গে ভাগ করে নিতে বলেন তাহলে থানাতে আর কোন তাঁর ও পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা হবে না বলে অভিযোহ করেন শিল্পী দেবী।এমনকি আমি আদালতে হাজিরা দিতে আসলেও বংশীহারী থানার পুলিশ সেদিনও আমি আমার স্বামীর বাড়িতে মারধর করতে গিয়েছি বলেই মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে বংশীহারী থানার পুলিশ বলেও অভিযোগ তাঁর।

গঙ্গারামপুর মহুকুমা আলাদতের বিশিষ্ট আইনজীবী রঞ্জন পান্ডে বুগলির মাধ্যমে কোলকাতা হাইকোটের নামকরা গোপাল পান্ডার সেরাস্থার মাধ্যমে নিজের সন্তান ফিরে পেতে শিল্পী দেবী কোলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।গোপাল পান্ডার সেরেস্থার কোলকাতা হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী কৌশিক চৌধুরী জানিয়েছেন, আমার মক্কেলের হয়ে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার শুনানি হয়েছে ২৪মে। সেখানে বিচারকের সামনে তুলে ধরা হয়েছে শিল্পীর দেবীর স্বামী তার স্ত্রীকে বাড়ি থেকে মারধর করে বের করে দেয় তাঁর দুটি সন্তানকে রেখে দিয়ে ।পরে সিডাবলুসিতে মামলা গড়ায়। সেখানেই প্রথমে স্বামী তাঁর ছেলে মেয়েকে সপ্তাহে একবার দেখতে পারবে বলে আদেশ দেয়। পরে আবার ছেলেটিকে স্ত্রীর কাছে আর মেয়েটাকে স্বামীর কাছে রেখে দেবার কথা বলা হয়৷তাঁর স্বামী মেয়েকে দেখতে গিয়ে শিল্পী দেবীর কাছ থেকে দুটি সন্তানকে নিয়ে চলে যায়।যে ঘটনা নিয়ে ওই গৃহবধু বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করে তাঁর স্বামী সহ পরিবারের লোকজনদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানাতে।
বিচারক আগামী ১৪দিনের মধ্যে মায়ের কাছে দুই সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে ডিজিকে রুল করে ১৪দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নোেবর কথা বলা হয়েছে। মা সন্তান ফিরে পেতে বিচারকের এমন ডিজিকে রুল ইস্যু করার ঘটনা অন্যতম বলেই মনে হয়েছে।

বুনিয়াদপুর মহুকুমা আদালতের বিশিষ্ট আইনজীবী রঞ্জন পান্ডে(বুগলী)জানিয়েছেন, যে কাজটা দায়িত্বের সঙ্গে পুলিশের করার কথা ছিল সেই বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে যেতে হল।বিচারক ওই গৃহবধুর পাশে দাঁড়িয়ে ডিজিকে রুল করে সন্তান ফিরিয়ে দেবার কথা বলেছে।
সম্ভানকে ফিরে পেতে কোলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে বিচারক ডিজিকে রুল ইস্যু করে বিষয়টি দেখার ঘটনায় আইনজীবী মহল থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহলে শোরগোল পরেছে।