পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ১৮ এপ্রিল––– লকডাউনে অসহায় বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের পাশে দাঁড়ালেন পুলিশ কর্মীরা । বালুরঘাট শহর ঘুরে একাকী থাকা বয়স্ক মানুষদের যাবতীয় সমস্যা ও অভাব অভিযোগের খোজ খবর নেন জেলা পুলিশ সুপার। মঙ্গলবার দুপুরে শহরজুড়ে ঘুরে একাধিক নিসঙ্গ বৃদ্ধ – বৃদ্ধার খোজ নিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে। তিনি জানিয়েছেন বিষয়টি তাদের কর্ত্যবের মধ্যে পড়ে। বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে ।

উল্লেখ্য, গত বছর প্রথম লকডাউনের আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বালুরঘাট থানার পুলিশের তরফে শহরের বিভিন্ন পাড়ায় একাকি থাকা বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের খোজ খবর ও তাদের স্বাস্থ্য পরিষেবার স্বচ্ছন্দে রাখবার জন্য একটি তালিকা তৈরি করেন। যাতে ওই প্রিয়জনহীন বৃদ্ধ বৃদ্ধারা মানসিক অবসাদে না ভোগেন ও সুস্থ্য থাকেন। সেইমত তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের নাম ঠিকানা, জন্ম তারিখ সহ কার্ডও তুলে দেওয়া হয়। যে কোন আপদে বিপদে ওই কার্ডে থাকা নম্বরে ফোন করলেই সাথে সাথে সহায়তা পেতেন তারা । বাজার সহ প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রও পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল বাড়িতে বাড়িতে । চলতি বছরেও করোনা মোকাবিলায় প্রথমে আংশিক লকডাউন তারপর ১৫ দিনের লকডাউন জারি করে সরকার। ফের সেই লকডাউন পড়তেই নড়ে চড়ে বসে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ । অন্যদিকে সম্প্রতি জেলায় বদলি হয়ে আসেন জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে। আজ দুপুরে তিনি বালুরঘাট থানার আই সি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে শহরে একাকি থাকা নিঃসঙ্গ বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের বাড়ী বাড়ী পৌছে যান। জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে তাদের সমস্যা ও অভাব অভিযোগ শোনার পাশাপাশি শারীরিক অবস্থারও খোজ খবর নেন । যে কোন বিপদ আপদে জেলা পুলিশ অথবা থানায় ফোন করার আবেদনও জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে ।
জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, লকডাউনে বাড়ি থেকে বের হওয়ায় সকলের পক্ষেই কষ্টকর । কিন্তু অসহায় বৃদ্ধবৃদ্ধাদের অবস্থা আরও শোচনীয় । সেই দিক মাথায় রেখেই তাদের সহায়তায় জরুরী ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে । নানান অভাব অভিযোগও শুনেছেন । পুলিশ প্রশাসন সবসময় তাদের পাশে আছে ।
















