জলপাইগুড়ি:-
বাড়ির মধ্যে কারখানা খুলে তৈরী হত নকল মদ। অভিযান চালিয়ে প্রায় পাঁচকোটি টাকা মূল্যের নকল বিদেশি এবং দেশী মদ সহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করল আবগারি দফতর। সাম্প্রতিক কালে এত পরিমাণে মদ উদ্ধারের ঘটনা নজিরবিহীন।
ঘটনাটি জলপাইগুড়ি জেলার, ময়নাগুড়ি ব্লকের রামশাই গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজলদিঘী এলাকার।
অভিযোগ কাজলদিঘী গ্রামের নিরঞ্জন রায় নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে নকল মদ তৈরীর কারবার চলছিলো। বিশ্বস্ত সূত্র মারফত সেই খবর আসে জলপাইগুড়ি আবগারি দফতরের কাছে। শুক্রবার সেই কারখানায় অভিযান চালায় জলপাইগুড়ি এবং ময়নাগুড়ি আবাগারি দফতর। অভিযান চালিয়ে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগার আবগারি দফতরের আধিকারিকদের। নিরঞ্জন সরকারের বাড়ির মধ্যেই তৈরি করা হয়েছিলো নকল মদ তৈরীর কারখানা।
স্পিরিটের সঙ্গে রঙ মিশিয়ে মদ তৈরী করে বোতল বন্দী করা হত। তারপর ইচ্ছেমত বিদেশী মদের নকল স্টীকার লাগিয়ে দেওয়া হত তাতে। তৈরী হত নকল দেশী মদও। তা চলে যেত বাজারে। গোটা উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি বিহার সহ ভিনরাজ্যেও এই মদ পাচার হত বলে জানতে পেরেছে আবগারি দফতর। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত প্রায় আটঘন্টা ধরে অভিযান চলে ওইস্থানে। উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণে তৈরী নকল দেশী, বিদেশী মদ, মদের ব্যারেল, বিভিন্ন নামী ব্র্যাণ্ডের নকল স্টিকার, এবং মদ তৈরীর বিভিন্ন সরঞ্জাম। মদ সহ উদ্ধার হওয়া সমস্ত সামগ্রীর দাম প্রায় ছয় কোটি টাকা। মোট সাতটি গাড়ি করে সমস্ত সামগ্রী রাতেই জলপাইগুড়ি আবগারি দফতরে নিয়ে আসা হয়। তবে এই মদ কারখানার মালিক নিরঞ্জন রায়কে গ্রেফতার করতে পারেনি আবগারি দফতর। সে পলাতক । নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি চলার মধ্যেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই নকল মদ শরীরের জন্য অত্যন্ত হানিকর বলে দাবি আবগারি দফতরের। আবগারি দফতরের উত্তরবঙ্গের ডেপুটি কমিশনার সুজিত দাস জানিয়েছেন, মদ সহ সমস্ত সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করার পর ওই কারখানা সিল করে দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযুক্ত পলাতক। তাকে গ্রেফতার করতে পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবগারি আধিকারিক ।
সূত্রের খবর, অভিযুক্তের রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে। এলাকায় প্রভাবশালী বলে পরিচিত সে। তার স্ত্রী অঙ্গনওয়ারী কর্মী। যদিও এই ব্যাপারে এদিন কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
ভিস বাইট👇