পরকীয়ার জের,এলাকা বাসীদের কটুক্তির মুখে পড়ে আত্মঘাতী গৃহবধু

0
558

পরকীয়ার জের,এলাকা বাসীদের কটুক্তির মুখে পড়ে আত্মঘাতী গৃহবধু।

শিলিগুড়ি:-

স্বামী থাকতেও পর পুরুষের সাথে প্রেম।এরপর তার হাত ধরেই বাড়ি ছাড়ে গৃহবধূ।কিন্তু ৮ দিন পর আবার ফিরে আসে সে।কিন্তু ফিরে আসলেও এলাকার মহিলাদের দ্বারা লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়ে আত্মঘাতী হন তিনি এমনটাই অভিযোগ আত্মঘাতী গৃহবধুর স্বামীর।চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া ফুলবাড়ি বকরাভিটায়।সমাজ যে এখনো মধ্যযুগীয় ধ্যান ধারণা নিয়েই চলে তা সমাজের কিছু কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা বার বার প্রমাণ করে দেয়।অভিযোগ এই মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার হয়েই আত্মঘাতী হলো এই গৃহবধূ।বিগত ৮ দিন আগে নিউ জলপাইগুড়ি থানা এলাকার বকরাভিটার গৃহবধূ সবিতা বর্মন
নিখোঁজ হয়েছিলেন।এর পর তার স্বামী তাপস বর্মন গৃহবধূ নিখোঁজ এর ঘটনায় নিউ জলপাইগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।কিন্তু আট দিন পর তিনি তার স্বামী তাপস বর্মনকে ফোন করে জানান তিনি সমস্যার মধ্যে রয়েছেন এবং তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।এরপরেই তাপস বর্মন তার স্ত্রীকে নিয়ে আসেন এবং শ্বশুর বাড়িতে রেখে দেন।এরপর তাপস বাবু স্থানীয় সাগর রায় এবং শিবানী রায়ের বিরুদ্ধে নিউ জলপাইগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।সাগর রায়ের সাথেই তাপস বাবু স্ত্রী পালিয়ে গিয়েছিল।এবং এই ঘটনায় সাগর রায়ের স্ত্রী শিবানী রায়ের তাদেরকে নানান রকম হুমকি দিচ্ছে বলেই নিউ জলপাইগুড়ি থানায় অভিযোগ জানান তাপস বাবু।এরপর ২৯ তারিখ নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ সাগর রায় এবং শিবানী রায় কে গ্রেফতার করে জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠায়।

এদিকে গোটা বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েতের কার্যালয়েই সালিশি সভা বসার কথা ছিল।তবে তার আগেই শনিবার এলাকারই কিছু মহিলা নিজেরাই নিজেদের পঞ্চায়েত মনে করে তাপস বাবু কে এবং তার স্ত্রীকে এলাকায় আসতে বলেন।এরপর তাপস বাবু তার স্ত্রীকে নিয়ে এলাকায় আসলে তাদের দুইজনকেই অশ্লীল কথাবার্তা এবং বেধড়ক মারধোর করেন ঐ মহিলারা বলেই অভিযোগ তাপস বাবুর।তাদের মধ্যে একজনের নাম স্বপ্না অধিকারী বলেই তাপস বাবুর অভিযোগ।গোটা ঘটনাটি পঞ্চায়েতের সামনে ঘটলেও পঞ্চায়েত কিছুই বলেন নি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।এরপরেই সবিতা দেবী অপমান সহ্য করতে না পেরে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হন।আর এই ঘটনার অভিযোগ পেতেই নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ স্বপ্না অধিকারী এবং বোজেন অধিকারী কে গ্রেফতার করে জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠায়।আরোও বেশ কিছু অভিযুক্তর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।

তবে এত ঘটনার পর কিন্তু একটা প্রশ্ন থেকেই যায়,পাড়ায় পাড়ায় সালিশি সভার মাধ্যমেই যদি সমস্যার সমাধান হয়ে যায়,তাহলে সমাজে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা কি??

ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (পূর্ব)
দীপক সরকারের বাইট।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here