পদ্মের গড়ে ফুটল ঘাসফুল! ভাটপাড়ার সমবায় নির্বাচনে তৃণমূলের দখল, বিজেপিরও চমকপ্রদ উত্থান
বালুরঘাট, ২৭ জুলাই —–সমবায় ভোটে জমজমাট লড়াই, পদ্ম–ঘাসফুলের হাড্ডাহাড্ডি টক্কর। আর সেই লড়াইয়ে বিজেপির ঘাঁটি বলে পরিচিত এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস জয় ছিনিয়ে নেওয়ায় উচ্ছ্বাস তৃণমূল শিবিরে। অন্যদিকে প্রথমবার প্রার্থী দিয়ে ছয় আসনে জয় পেয়ে খাতা খুলেছে বিজেপিও। ফলে নির্বাচন পরবর্তী ছবি হয়ে উঠেছে চোখে পড়ার মতো—দুই দলই ফলাফলের ব্যাখ্যায় ব্যস্ত, লক্ষ্য ২০২৬ বিধানসভা।
রবিবার বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া সমাজকল্যাণ মহিলা সংঘ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ১৭টি আসনে ভোট হয় চকরাম বি এল হাইস্কুলে। তৃণমূল আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৮টি আসনে জয় ছিনিয়ে নেয়। বাকি ৯টি আসনে রবিবার হয় ভোটগ্রহণ। সকাল থেকেই চকরাম হাইস্কুল চত্বরে ছিল উৎসবের আবহ, টানটান নিরাপত্তা। পুলিশের তৎপরতায় শান্তিপূর্ণভাবে মিটে যায় ভোট।
ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যায়—বিজেপি আটটি আসনে প্রার্থী দিয়ে ছয়টি আসনে জয় পায়। বাকি তিনটি আসন দখল করে তৃণমূল। সবমিলিয়ে তৃণমূলের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ১১। অর্থাৎ ওই সমবায় সমিতির নিয়ন্ত্রণ চলে যায় তৃণমূলের হাতেই। জয় উদযাপনে বাইরে বেরিয়ে আসেন ঘাসফুল কর্মীরা, চলতে থাকে আবীর মাখামাখি, স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে এলাকা।
তৃণমূল নেত্রী স্নেহলতা হেমব্রম বলেন, “বিজেপি নিজেদের এলাকায় প্রার্থীই দিতে পারেনি সব আসনে। অথচ তৃণমূল ৮টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে। মানুষের ভরসার জোরেই ১১টি আসন জিতে সমবায়ের দখল নিয়েছি।”
বিজেপি জেলা যুব মোর্চা সভাপতি শুভ চক্রবর্তীর বক্তব্য, “প্রথমবার লড়াই করেও ছয়টি আসন জিতে নিয়েছি। তৃণমূলের ঘাঁটি থেকে এই জয় কর্মীদের মনোবল বাড়াবে।”
তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি তরুণ চক্রবর্তী বলেন, “পঞ্চায়েতে বিজেপি থাকলেও তারা সমবায়ের সব আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। এটাই প্রমাণ করে মানুষ কার পাশে রয়েছে।”
একটি সমবায় নির্বাচন ঘিরে উভয় দলের এমন দ্বৈরথ আগামী বিধানসভার লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়ে রাখল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।