পদ্মফুল চাষ করে চরম দুর্ভোগে রায়গঞ্জ ব্লকের পদ্মচাষীরা

0
558

উত্তর দিনাজপুর:———-পদ্মফুলের জন্ম পাঁকে, কিন্তু তবুও পদ্মফুল পাঁক থেকে ওঠে গায়ে কোনও পাঁকের দাগ না নিয়ে। আসলে পদ্ম আমাদের এই ইঙ্গিতই দেয় যে পরিবেশ শেষ কথা নয়। খারাপ পরিবেশে জন্মেও অনেক ভালো কাজ করা যায়, দেশের সেরার শিরোপাও মেলে। তারই উদাহরণ হিসেবে পদ্ম আমাদের দেশের জাতীয় ফুল। শুধু তাই নয়, পদ্মফুল ছাড়া যেকোনও পুজোই আভূষনহীন। বিশেষ করে দেবী দূর্গার আরাধনা পদ্মফুল ছাড়া অসম্ভব। দূর্গাপুজার সন্ধিপুজোতে ১০৮ টি পদ্মফুলেই দেবী তুষ্ট হন। কিন্তু এই পদ্মফুল যারা চাষ করেন তারাই আজ চরম দুর্ভোগে। হাজার হাজার পদ্মফুলের চাষ করলেও করোনা আবহের কারনে এখনও পর্যন্ত কোনও পূজো উদ্যোক্তা পদ্মফুলের জন্য তাদের সাথে যোগাযোগ করেনি। করোনার আবহে এমনিতেই দূর্গাপূজা এবার নমো নমো করে আয়োজন করতে চলেছেন আয়োজকেরা। ফলে এবার পদ্মফুল কি জলাশয়েই পড়ে থাকবে এই আশঙ্কাতেই দিন গুনছেন রায়গঞ্জ ব্লকের পদ্মচাষীরা।

শরতের আগমনীর বার্তার সাথে সাথে জলাশয়গুলিতে ভরে উঠেছে পদ্মের কুঁড়ি। রায়গঞ্জ ব্লকের ৫ নং শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পটলগ্রামের ধোদরা বিলে প্রতিবছরের মতো এবছরেও প্রচুর পদ্মের কুঁড়ি এসেছে। অন্যান্যবার বিশ্বকর্মা পূজার আগে থেকেই দুর্গাপুজো কমিটির সদস্যরা গ্রামে এসে ফুলের জন্য অগ্রিম অর্থ দিয়ে যান চাষীদের। কিন্তু করোনা সংক্রমনের আবহে এবছর এখনো পর্যন্ত কেউ যোগাযোগ করে নি এই ফুল চাষীদের সঙ্গে। ফলে মনখারাপ তাদের। ফুলচাষী রবি বর্মন বলেন,” পুজোর আগে পদ্মফুলের জন্য বহু লোক গ্রামে আসেন। এই সময়টা ফুল বিক্রি করে বাড়তি কিছু পয়সা হাতে আসে।
কিন্তু করোনা সংক্রমনের কারনে পুজো নিয়েই দোলাচলে রয়েছেন পুজোউদ্যোক্তারা। এখনো ফুলের অর্ডার পাই নি।” ননীগোপাল বর্মন নামে অপর ফুলচাষী বলেন,” লকডাউনের কারনে মানুষের হাতে অর্থ নেই। গ্রামের পুজোগুলিও খুব ছোটো করে হচ্ছে। ফলে এখনো পর্যন্ত পদ্মফুলের চাহিদা নেই। ফলে চরম সংকটে উত্তর দিনাজপুর জেলার পদ্মচাষীরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here