পঞ্চাশ লক্ষের ফুটব্রীজে আট বছরেও পা রাখেনি কোন পথচারী! আশ্চর্যতম এই ব্রীজ নির্মানের কারণ নিয়ে আজো প্রশ্ন বালুরঘাটে
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২৬ মে—— ৫০ লক্ষেরও অধিক ব্যয়ে নির্মিত ফুটব্রীজে আটবছরেও পা রাখেনি কোন পথচারী। শুনতে কিছুটা অবাক লাগলেও এমনই এক অবাক করা ফুটব্রীজ রয়েছে বালুরঘাট শহরে। বিগত বেশকিছুদিন যাবত সেই ফুটব্রীজই এখন আস্থানা হয়ে উঠেছে ভবঘুরে ও সমাজবিরোধীদের। রাজনৈতিক নেতারা অবশ্য এই ফুটব্রীজটিকে এখন হোর্ডিং জোন হিসাবেই ব্যবহার করছেন। খোদ শহরের প্রানকেন্দ্রে পরিকল্পনাবিহীনভাবে সরকারী লক্ষ লক্ষ টাকা অপচয় করে কেন এই ফুটব্রীজটি নির্মান করা হয়েছিল তা আজও অনেকের অজানা। যদিও অনেকে বলেন জনবহুল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বৃদ্ধ ও শিশুদের রাস্তা পারাপারের সুবিধার্থেই ততকালীন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীর হাত ধরে প্রায় ৫৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল এই ফুটব্রীজটি। কিন্তু তারপরেও সেটি আজও কেন হোর্ডিং জোন বা সমাজবিরোধীদের আড্ডাস্থল হয়ে উঠেছে তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন এই শহরের বাসিন্দারা। প্রসঙ্গত, রাজ্যে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসবার আগে জেলায় জেলায় একগুচ্ছ উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল তৃণমূল পরিচালিত সরকার। যে সময় রাজ্যের পুর্ত দফতরের মন্ত্রী ছিলেন বালুরঘাটের বিধায়ক শঙ্কর চক্রবর্তী। ২০১৬ সালে তার হাত ধরে প্রায় ৫৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দে বালুরঘাট শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নির্মিত হয়েছিল এই ফুটব্রীজটি। জনবহুল এলাকায় বয়স্ক, শিশু ও মহিলাদের রাস্তা পারাপারের সমস্যা উপলব্ধি করেই নেওয়া হয়েছিল ফুটব্রীজ নির্মানের পরিকল্পনা। ঢাকঢোল পিটিয়ে যার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও করেছিলেন ততকালীন মন্ত্রী। তারপরে অতিক্রান্ত হয়েছে আট-আটটি বছর। কোন পথচারীকেই আজো সেভাবে পা ফেলতে দেখা যায়নি সেই ফুটব্রীজে। আর যা নিয়েই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন শহরের একাংশ মানুষজন। অনেকের দাবি সম্পূর্ণ পরিকল্পনাবিহীনভাবে তৈরি করা হয়েছে ওই ফুটব্রীজটি যা অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়।
শহরের বাসিন্দা অরিন্দম বাগচি ও জিষ্ণু নিয়োগীরা বলেন, বয়স্ক মানুষদের কথা ভেবে তৈরি হলে এধরনের খাড়া সিড়ি যুক্ত ফুটব্রীজ তৈরি হত না। পরিকল্পনাবিহীনভাবে তৈরি হবার কারনেই সেটা মানুষের কোন কাজে ব্যবহার হচ্ছে না। শুধুমাত্র অর্থেরই অপচয় হচ্ছে, তাছাড়া আর কিছু নয়।
বালুরঘাট পুরসভার এমসি আই সি মহেশ পারেখ বলেন, ফুটব্রীজটি চালু রয়েছে। নতুন কিছু প্ল্যানিং রয়েছে সেটাকে ঘিরে। ৪ জুনের পর নির্বাচনী বিধিনিষেধ উঠলেই সেটা বাস্তবায়নের দিকে এগোনোর চেষ্টা করবেন তারা।