অশোকগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের নীলহরিতে সীমান্তবর্তী এলাকা ড্রেনের ঢাকনা তৈরি হলো লোহার রডের পরিবর্তে বাঁশ দিয়ে “অভিযোগ” শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ২৩মে।লোহার রডের পরিবর্তে বাসের বাতা দিয়ে ড্রেনের উপরের ঢাকনা তৈরি করার অভিযোগ তুলছেন এলাকার গ্রামবাসীরা ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের অশোকগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের নীলহরি গ্রাম সংসদের সীমান্তবর্তী এলাকার ঘটনা।শুক্রবার দুপুরে প্রতিবাদ জানিয়ে গ্রামবাসীরা গঙ্গারামপুর ব্লকের বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অশোকগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতিও ঘটনা নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। গঙ্গারামপুর ব্লকের বিডিও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।ঠিকাদার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা গ্রামবাসীদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নিজের দোষ ঢাকার চেষ্টা করেছেন। ঘটনা নিয়ে অশোকগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক, প্রধান থেকে শুরু করে বাকি অফিসারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সকলেই।
রডের বদলে বাতা! নিম্নমানের ড্রেন ঢাকনা তৈরির অভিযোগে শোরগোল গঙ্গারামপুরে।
গঙ্গারামপুর ব্লকের অশোকগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের নীলহরি সীমান্তবর্তী এলাকায় ১৫অর্থ কমিশনের ২লক্ষ টাকা বরাদ্দ সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা কলাইবাড়ি এলাকা থেকে মোজাম্মেলের বাড়ি পর্যন্ত ৫৫ মিটার ড্রেন নির্মাণের কাজের বরাদ্দ পান শিবা বোস নামে এলাকারি এক ঠিকাদার। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,নিম্নমানের জিনিস দিয়ে ড্রেন তৈরি করা হয়েছে।এমনি কি ড্রেনের ঢাকনা তৈরিতে রডের পরিবর্তে নিম্নমানের রড,তার সঙ্গে বাসের বাতা ব্যবহার করা হয়েছে যা সরকারি নিয়মবিধির সম্পূর্ণ পরিপন্থী।তাঁদের আরো অভিযোগ,এই ঢাকনাগুলো অত্যন্ত দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ,এবং যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এলাকার গ্রামবাসী রফিকুল ইসলাম,নাজমুল ইসলাম,সহ আরো এক যুবক অভিযোগ করে বলেন,নিম্নমানের ড্রেন ও উপরের অংশ রডের পরিবর্তে বাসের বাতা দিয়ে ড্রেনের ঢাকনা তৈরি করা হয়েছে।লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে বিডিও অফিসে। প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে সেই দাবি জানায়।”
অশোকগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি বজিরুউদ্দিন আহম্মেদও এই অনিয়মের কড়া সমালোচনা করেন এবং ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে তার দাবি করেছেন তিনি।”
গঙ্গারামপুর ব্লকের বিডিও অর্পিতা ঘোষাল জানিয়েছেন,” তিনি অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।” প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার শিবা বোস সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা গ্রামবাসীদের ওপরই দোষ চাপিয়ে বলেন”নিয়ম মেনে কাজ করা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
এই ঘটনার পর গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক,প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট অফিসারদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।জনসাধারণের দাবি,দোষীদের শাস্তি দিয়ে প্রকল্পের গুণগত মান নিশ্চিত করা হোক।
Home Uncategorized পঞ্চায়েতের নীলহরিতে সীমান্তবর্তী এলাকা ড্রেনের ঢাকনা তৈরি হলো লোহার রডের পরিবর্তে বাঁশ...