হরিরামপুরে টিউশন পড়তে গিয়ে দশম শ্রেণীতে পড়াশোনা করা নাবালিকা নিখোঁজ,২০ দিনেও সন্ধান নেই ,উদ্বেগে পরিবার, খতিয়ে দেখার আশ্বাস প্রশাসনের
শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ৭ ডিসেম্বর।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর থানার গোকর্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের খারুয়া গ্রামে টিউশন পড়তে বেরিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয় এক নাবালিকা ছাত্রী।ঘটনার ২০দিন কেটে গেলেও এখনও তার কোনো সন্ধান মেলেনি পরিবার বলে অভিযোগ পরিবারের। দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন বাবা-মা সহ পরিবারের সদস্যরা। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও মেয়ের খোঁজ না মেলায় আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন পরিজনেরা।পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ হওয়া কিশোরী ছাত্রীটি সামেনার খাতুন (১৬),সে হরিরামপুরের এএস ডি এম উচ্চ বিদ্যালয়ের এবছরের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। তার বাবা ঝন্টু শেখ এবং মা তাসনুর বিবি।পরিবারটি হরিরামপুর থানার গোকর্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের খারুয়া গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, গত ১৬নভেম্বর সামেনা বাড়ি থেকে টিউশন পড়তে বেরিয়ে যায়। কিছু সময় পরেও সে বাড়ি না ফিরলে পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে এবং আশেপাশের এলাকায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে।কিন্তু দীর্ঘ অনুসন্ধান সত্ত্বেও কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে বাধ্য হয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে হরিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
প্রায় ২০দিন কেটে গেলেও এখনও নিখোঁজ সামেনার কোনো সন্ধান মেলেনি। পরিবারের দাবি, যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে তাদের দুশ্চিন্তা। মেয়ের সুস্থভাবে ফিরে আসার আশায় প্রতিটি মুহূর্ত নির্ঘুম কাটছে তাদের।
অভিযোগকারী নাবালিকা মেয়ের মা তাসনুর বিবি বলেন,”আমার মেয়েটা ১৬ নভেম্বর টিউশন পড়তে গিয়েছিল। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি।আমরা সব জায়গায় খোঁজ করেছি, কিন্তু কোথাও পাইনি। থানায় অভিযোগও করেছি।২০দিন হয়ে গেল, আজও কোনো খবর নেই। আমার মেয়েটাকে যেন সুস্থভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হয় এই আশা নিয়েই দিন কাটাচ্ছি।” এমন ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ওই ছাত্রীর প্রতিবেশীরাও।তারা বলেন,”আমরা চাই ছাত্রটি ফিরে আসুক।” জেলা পুলিশ সুপার জানান,অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই ছাত্রীটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করা হবে।”

















