নব্য-পুরনো প্রমাণ নিয়ে তৃণমূলের কাদা ছোড়াছুড়ি!

0
651

নব্য-পুরনো প্রমাণ নিয়ে তৃণমূলের কাদা ছোড়াছুড়ি! বালুরঘাটে ফিকে ২১-শে জুলাইয়ের কর্মসূচি। লজ্জার স্বীকারোক্তি তৃণমূল সভাপতির

বালুরঘাট, ১৫ জুলাই—–রাজ্যজুড়ে যখন তৃণমূলের ‘ধর্মতলা চলো’ ডাক, শহর থেকে গ্রাম—প্রচারে উত্তাল চারপাশ, তখনই বালুরঘাটে উলটো সুর। ২১-শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা নয়, সোমবার কলেজ মোড়ে যেন নব্য ও পুরনো প্রমাণ নিয়ে নেতৃত্বের খোলাখুলি ‘গৃহযুদ্ধ’-এর সাক্ষী থাকল শহর। ব্যানারে তৃণমূল, কিন্তু মঞ্চ দখল করে একের পর এক কটাক্ষ, নাম না করে ব্যক্তিগত খোঁচা, ক্ষমতা দখলের পাল্টা-পাল্টি ইঙ্গিত। ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই শহরজুড়ে তৃণমূলের অন্দরকলহ ফের প্রকাশ্যে। আর সেই দৃশ্য দেখে সাধারণ মানুষের চোখে-মুখে কৌতুকের ছবি।

পথচলতি মানুষের মুখে স্পষ্ট— ‘যারা ‘নিজেদের কোন্দল সামলাতে পারে না, তারা আবার জনমত তৈরির কথা বলে!’’ একাধিক কর্মী-সমর্থকও এই পরিস্থিতিতে চুপ করে থাকেননি। ফোন, বার্তায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন জেলা নেতৃত্বের কাছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল সরাসরি বললেন, “এই ঘটনা একেবারেই লজ্জাজনক। ব্যক্তিগত আক্রমণের জায়গা কখনও ২১ জুলাইয়ের প্রচার সভা হতে পারে না। ইতিমধ্যে দলের মধ্যে থেকে প্রচুর ফোন পেয়েছি। যারা এই আচরণ করেছে, ২১ শে জুলাইয়ের পর তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে রাজ্যকে বলব। নতুবা আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে দিন।”

দলের একাংশ মনে করছে, নেতৃত্বের মধ্যে জমে থাকা বহুদিনের ক্ষোভ, উপেক্ষা আর প্রভাব বিস্তারের দড়ি টানাটানি এবার প্রকাশ্যেই ফেটে পড়ল। আর তা দেখতে পেয়ে বালুরঘাটের মানুষ তো হাসছেন-ই, বিরোধীরাও কটাক্ষ ছুড়ছে— ‘‘নিজেরাই যখন মারামারি করে, তখন মানুষের কথা ভাববে কখন?’’ শুধু তাই নয়, দলের অন্দরের এই অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে আসায় দলের ভাবমূর্তিই যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সে কথা মানছেন অনেকে। আর সাধারণ মানুষ? তাঁরা আবার একে দেখছেন “ঘরের ঝগড়া রাস্তায় টেনে এনে জনতার মনোরঞ্জন” বলেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here