নদীতে সুতি জালের মাধ্যমে মাছ মারার ঘটনায় গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র বুনিয়াদপুর, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজন, শোরগোল এলাকাজুড়ে
শীতল চক্রবর্ত্তী, বুনিয়াদপুর, 1নভেম্বর, দক্ষিণ দিনাজপুর:–নদীতে সুতি জাল বসানোকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল এলাকা। ঘটনাটিই ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকের গাংগুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগদুয়ার এলাকায়।এলাকার পরিস্থতি সামাল দিতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয় বলে খবর।অভিযোগ সেই সময় ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িও । ঘটনায় পুলিশের একজন এসআই, তিনজন এ এসআই সহ মোট 7জন সিভিক ভলেন্টিয়ার গুরুতর আহত হয়।আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন গ্রামবাসীও বলে খবর। ঘটনার পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ডেনডুপ শেরপার নেতৃত্বে ,মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ,বংশীহারী থানার আইসি সহ বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।আহতরা চিকিৎসাধীন রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে এলাকাজুড়ে।,
এলাকার গ্রামবাসীদের অভিযোগ ,অবৈধভাবে টাঙ্গন নদীতে সুটিতে জাল বসানোর ঘটনা নিয়ে শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা। এলাকার বাসিন্দা জাসু হেমরম দুর্গাপূজার চার পাঁচ দিন পর সুতি জালের মালিকের কাছে মাছ চাইতে গেলে সুতি জালের মালিক আশরাফ এর ছেলে মানিক শেখ ,জাসু হেমরম এর ওপর চড়াও হয় ও তাকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। অভিযোগ এমনকি গোপন অঙ্গও তাকে আঘাত করে বলে অভিযোগ সেখানকার গ্রামবাসীদের।এমনকি মানিক শেখ তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। তারপরে তিন চারটি গ্রামের লোক জনেরা মিলে সালিশি সভার ডাক দেয় গত রবিবার তারে। সালিশি সভায় আশরাফ শেখ ও তার ছেলে না আসায় সোমবার সকালে আশরাফ শেখ যখন সুতিজাল থেকে মাছ নিয়ে বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয় তখন গ্রামবাসিরা তাকে আটকে রাখে ও তাকে সালিশি সভায় বসতে বলে।সেখানেই গোলমালের সূত্রপাত বলে খবর।এরপরে সালিশি সভা চলাকালীন সেখানে গোলমালের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে গ্রামবাসীদের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। এরপরে গ্রামের মহিলারা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের উপরে ইট পাথর ছুড়তে শুরু করে। ফলে বংশীহারী থানার আইসি মনোজিৎ সরকারের গাড়ির কাছ ভেঙ্গে যায়। সঙ্গে একজন এসআই, তিনজন এএসআই সহ সাত জন সিভিক ভলেন্টিয়ার আহত হয় তাদের ঢিলে। আহতদের রশিদপুর গ্রামীন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উভয়পক্ষের গ্রামবাসীরা অভিযোগ করে জানিয়েছেন, আমাদের গ্রামের এক লোক নদীতে বসানো সুতিতে মাছ চাইতে গেলে সেই সুতি মালিক আশরাফ শেখ এর ছেলে মানিক শেখ তাকে বেধড়ক মারধর করে। গোপনাঙ্গ ও আঘাত করে করে তারা।সোমবার আমাদের গ্রামে সালিশি সভা চলাকালীন সেখানে পুলিশ এসে গ্রামবাসী দের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে, এরপর গ্রামের মহিলারা পুলিশের ওপর ইট পাথর ও বাঁশ নিয়ে চড়াও হয়।
এবিষয়ে অতিরক্ত জেলা পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) ডেনডুম শেরপা জানিয়েছেন, এই ঘটনার আমরা তদন্ত শুরু করেছি। যদিও এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে এলাকাজুড়ে।