নদীতে জল নেই,নেই বৃষ্টি দেখাও। খরা বসিয়ে দিয়েও কোন লাভ না হওয়ায় মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষজনেরা জাল ফেলে নদীতে মাছ মারার চেষ্টা করছেন গঙ্গারামপুর পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের পুনর্ভবা নদীঘাটে এই কাজ যুক্ত থাকা বাসিন্দারা

0
322

শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর ১৬ অগাস্ট দক্ষিণ দিনাজপুর:-নদীতে নেই জল,মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষজনেরা মাছ ধরতে বসিয়েছেন সেই নদীর   পাশে ও মাঝে বসিয়েছে খরা। বৃষ্টি নেই, তাই নদীতেও নেই জল। দেখা নেই মাছেরও বলে দাবি করেন মৎস্যজীবী কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা বাসিন্দারা।তাই হাতে জাল নিয়ে মাছ ধরতে যাচ্ছেন নদীতে দিনরাত্রিতে।এমনই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের পুনর্ভবা নদীঘাটে।মসজীবীরা জানালেন,এবছর কোন মাছও পাওয়া যাচ্ছে না। তাই খরা দিয়েও কোন লাভ হয়নি। জাল ফেলেও কোনো মাছ উঠছে না।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পৌরসভা ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে কমবেশি প্রতিটি ওয়ার্ডে রয়েছে মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষজনেরা। মাছ ধরে কিম্বা মাছ কেনাবেচা  করেই তাদের প্রধান জীবিকা বলে তারা জানান।

। অনেক মৎসজিবি পরিবার অবশ্যই বিভিন্ন জায়গাতে যেমন গঙ্গারামপুরের পুনর্ভবা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।আষাঢ় মাস থেকেই গঙ্গারামপুরে পুনর্ভবা নদীতে যেমন জলে থৈ থৈ থাকে,তেমনি মৎস্যজীবী সম্প্রদায় মুক্ত মানুষজনেরা মাছ ধরতে পুরনো পদ্ধতি খরা ফেলে তা ধরার চেষ্টা করে থাকেন। এ বছরও সেই কারণেই তারা মাছ ধরতে পুনর্ভবা নদীর মাঝে খরা  বসিয়েছিল।

       বিমল হালদার ও আরেক মৎস্যজীবী সম্প্রদায় ভক্ত মানুষজনেরা জানালেন, এবছর কিছুতেই মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। হাত দিয়ে জাল ফেলেও মাছ পাওয়া যায় না। যদিও প্রতিবছরই নদীতে জল থাকায় বিভিন্ন ধরনের মাছ তারা পেয়ে থাকতেন। এবার তাদের খারাপ অবস্থা।

   জানা গিয়েছে,আষাঢ় মাসের বর্ষার সময়ে নদী থেকে প্রচুর মাছ পান মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষজনেরা এই  পুনর্ভবা নদী থেকেই।বৃষ্টির দেখা নেই বলে এমনটা তৈরি হয়েছে বলে প্রশাসন জানা গেছে।

  যদিও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্নভাবে সরকারি প্রকল্পে এই সমস্ত মৎস্যজীবী পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকা মানুষজনদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।তারা যেন সরকারি সহযোগিতা পান তার ব্যবস্থাও করা হবে।

এখন  দেখার এটাই যে ,ওই সমস্ত মৎস্যজীবী পরিবারেরা সদস্যরা কিভাবে তাদের রোজগার বাড়িয়ে  সংসার পরিচালনা করে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে সকলেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here