ধলতা–সন্ত্রাস! মিল মালিকের তোলাবাজিতে উত্তপ্ত তপনের লস্করহাট

0
22

ধলতা–সন্ত্রাস! মিল মালিকের তোলাবাজিতে উত্তপ্ত তপনের লস্করহাট, ক্ষুব্ধ কৃষকদের বিক্ষোভ

বালুরঘাট, ২ ডিসেম্বর —–সরকারি ধান কেনা শিবিরেই প্রকাশ্যে তোলাবাজি! কুইন্ট্যাল-পিছু ৫ কেজি ধান ‘ধলতা’ ও ২০০ টাকা দাবি—এই অভিযোগে মঙ্গলবার সকাল থেকে রীতিমতো ফুঁসে ওঠেন লস্করহাটের কৃষকেরা। মুহূর্তে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শিবির চত্বর, থমকে যায় সরকারি ধান সংগ্রহ।

কৃষকদের অভিযোগ, স্পষ্ট সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও মা বিদ্যেশ্বরী এগ্রো প্রোডাক্টস প্রাইভেট লিমিটেডের কর্মীরা প্রকাশ্যে এই বেআইনি আদায় চালাচ্ছিলেন। উপস্থিত খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকদের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কৃষকেরা—“যোগসাজশ না থাকলে এভাবে দাদাগিরি চলতে পারে?”

রবীন্দ্রনাথ বর্মন, সুধীর মণ্ডল, সাব্বীর সরকারদের অভিযোগ, “না দিলে ধান নেবে না—এটাই শেষ কথা শুনতে হচ্ছে আমাদের।” প্রতিবাদের মুখে শিবির কার্যত অচল হয়ে পড়ে।

এই ঘটনার মাঝেই খাদ্য দপ্তরের আধিকারিক শুভজিত সাহা দায় ঝেড়ে ফেলে বলেন, “ধলতা বা টাকা নেওয়ার বিষয়ে দপ্তর কিছু জানে না। এগুলো মিল মালিক নিচ্ছে।” অন্যদিকে মা বিদ্যেশ্বরী এগ্রো প্রোডাক্টস-এর তরফে সাগর মণ্ডল আবার দাবি করেন, “ধলতা ছাড়া ধান নেওয়া যায় না। নিয়ম অনুযায়ীই ধান কেনা হচ্ছে।”

২৩৮৯ টাকা প্রতি কুইন্ট্যাল দরে সরকারিভাবে ধান কেনা শুরু হওয়ায় আগেই কিছুটা স্বস্তি ফিরেছিল কৃষকদের মুখে। কিন্তু মিল মালিকদের নতুন করে দাদাগিরি ও বেআইনি আদায় শুরু হওয়ায় ফের চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। তোলাবাজি বন্ধ ও ধলতা আদায়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন এলাকার কৃষকেরা।

সরকারি শিবিরে এমন প্রকাশ্য অনিয়ম ও তোলাবাজির ঘটনা সামনে আসায় প্রশ্ন উঠছে—কর্তৃপক্ষ সত্যিই কি অন্ধ, নাকি ঘটনার আড়ালে আরও বড় যোগসাজশ রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here