দেদারে চলছে অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারের তাণ্ডব

0
646
গঙ্গারামপুর 220ডিসেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর।দেদারে চলছে অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারের তাণ্ডব। মার খেতে হচ্ছে রোগীর আত্মীয়দের।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার  হরিরামপুর গ্রামীন হাসপাতালের এম্বুলেন্স ড্রাইভারের ঘটনা। যে ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে এলাকাজুড়ে ।
এমনি ঘটনার অভিযোগ উটেছে হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। হরিরামপুর থানার শিরশী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বড়া গ্রামের সাবিনা আক্তার বানু (২৬) প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে সকালে হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান পরিবারের আত্মীয়রা । হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক সন্ধ্যাবেলা সেই রোগীকে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাবার নির্দেশ দেন।  রোগীর স্বামী রিয়াজুল ইসলাম ও আত্মীয় খায়রুল ইসলাম রোগীকে বুনিয়াদপুরের কোনো এক বেসরকারী নার্সিংহোমে ভর্তি করাতে চান। অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারদের নিয়ে যাওয়ার কথা বলাই অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার ৭০০ টাকা ভাড়া চান রোগীর পরিবারের কাছে। বুনিয়াদপুরে অন্য এক বেসরকারি নার্সিং হোমে ভর্তি করাতে চান অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার। পরিবারের সদস্যরা রাজি না হলে অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার ৭০০ টাকা সহ আরো ৫০০ টাকা এক্সট্রা চার্জ করেন। রোগীর পরিবারের লোকজন রাজি না হলে হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালের সামনেই অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার মুন্না সহ আরো বেশ কয়েকটি ড্রাইভার মিলে রোগীর স্বামী রেজাউল ইসলাম ও রোগীর আত্মীয় খায়রুল ইসলামকে বেধড়ক মারধর করে। বাধ্য হয়ে রোগী আত্মীয়রা বুনিয়াদপুরের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে রোগীকে ভর্তি করানো হয়। রোগীকে ভর্তি করানোর পর রোগীর আত্মীয় খাইরুল হক রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার মুন্নার ওপর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলে খাইরুল হক জানিয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ বুনিয়াদপুর বেসরকারি নার্সিংহোম থেকে অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
 এবিষয়ে রোগীর আত্মীয় খায়রুল হক জানিয়েছেন,সাবিনা আক্তার বানর প্রসব যন্ত্রণা হওয়ায় আমরা হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে রোগিকে ভর্তি করায়। ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক সন্ধ্যাবেলা রোগীকে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করেন। আমরা বুনিয়াদপুরের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে নিজেকে চেয়েছিলাম আমাদের রোগীকে। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার নিজের ইচ্ছাকৃত বুনিয়াদপুরের অন্য নার্সিংহোমে ভর্তি করাতে চাইছিলেন। আমরা তাতে রাজি না হওয়ায় অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার আমাদের কাছে ৭০০ টাকা ভাড়া সহ অতিরিক্ত আরো ৫০০ টাকা ভাড়ার দাবি করেন। না নিয়ে যেতে চাইলে রোগীর স্বামীসহ আমাকেও অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার মুন্না সহ আরো বেশ কয়েকজন ড্রাইভার মিলে আমাদের কে বেধড়ক মারধর করে। অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারদের টান দেবে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। আমরা অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারদের নামে থানায় অভিযোগ জনাব।       জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।      এমন ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকাজুড়ে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here