দুর্গন্ধের দাপট! নর্দমা-শৌচালয়ের জল একাকার, নরককুন্ডে পরিনত বালুরঘাট বাসস্ট্যান্ড
বালুরঘাট, ১১ আগস্ট—– দূরপাল্লার শতাধিক বাসের গন্তব্য, প্রতিদিন হাজারো যাত্রী-পথচারীর পদচারণায় মুখর বালুরঘাট পাবলিক বাসস্ট্যান্ড—আজ যেন দুর্গন্ধে আচ্ছন্ন এক মৃত্যুকূপ। শৌচালয়ের পচা জল ও নর্দমার কালো তরল একাকার হয়ে বৃষ্টির জল মিশে তৈরি করেছে অসহনীয় নোংরার স্রোত। যাত্রীদের সেই জল পেরিয়ে বাসে ওঠা বা নামা যেন এখন এক অনিবার্য শাস্তি। গোটা বাসস্ট্যান্ড চত্বরজুড়ে দুর্গন্ধ এমন মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ছে যে, দাঁড়ানো তো দূরের কথা, নিঃশ্বাস নেওয়াই কঠিন। অভিযোগ, বাসস্ট্যান্ডের আশপাশে দীর্ঘদিন ধরে যত্রতত্র অবৈধ শৌচালয় গড়ে উঠেছে। নিয়মিত পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে সামান্য বৃষ্টিতেই ওই শৌচালয়ের নোংরা জল ও নর্দমার পচা জল একসঙ্গে মিশে রাস্তার গর্তে জমে থাকে। বড় বড় গর্তে পা হড়কানো বা বাসের চাকা আটকে যাওয়া এখন নিত্যদিনের দৃশ্য।
স্থানীয় টোটোচালক বিপুল মালী ও চন্দন সাও দের ক্ষোভ, “দিনের পর দিন এই অবস্থা। যাত্রীদের যেমন কষ্ট, তেমনই গাড়ি চালানোও দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।” ব্যবসায়ীরাও ক্ষুব্ধ—দুর্গন্ধে ক্রেতারা দোকানের সামনে দাঁড়াতেই চাইছেন না।
দীর্ঘদিন ধরে চলা এই বেহাল দশার দিকে কর্তৃপক্ষের নজর নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র জানিয়েছেন, “টানা বৃষ্টির জন্য কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। দ্রুত পরিষ্কার ও মেরামতির কাজ হাতে নেওয়া হচ্ছে।”
কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—মেরামতির আশ্বাস যতদিন কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে, ততদিন এই নরককুন্ড পেরিয়েই যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে হবে। শহরের প্রাণকেন্দ্রে এমন চিত্র শুধু লজ্জাই নয়, স্বাস্থ্যঝুঁকিরও গুরুতর সতর্কবার্তা।