দুয়ারে রেশন প্রকল্পে কোনরকম কর্মী নিয়োগ হচ্ছে না, অসাধু চক্র বেকারদের ঠকিয়ে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস সকলের

0
137280

শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর হাজার 19মে দক্ষিণ দিনাজপুর:-দুয়ারে রেশন প্রকল্পে কর্মী নিয়োগের প্রচার কে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে শহর জুড়ে। বিষয়টি জানার পরেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পৌর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপারসন থেকে শুরু করে প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল যে, এমন প্রচারের জন্য যে সমস্ত অসাধু চক্র বেকারদের ঠকিয়ে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে করা হাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রেশন ডিলার দের সংগঠন ও জেলা খাদ্য দপ্তরে তরফেও এমন কোন নিয়োগের বিষয়ে সত্যতা নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের তরফে ও কারা এমন ভুয়া পোস্ট করেছে তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।


ভোটের সময় রাজ্য সরকারের তরফে ইশতেহার প্রকাশ করা হয়েছিল যে, তৃতীয়বারের জন্য তাদের সরকার ক্ষমতায় আসলে দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ফের ক্ষমতায় ফিরেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই একজন থেকে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে জেলার একটি ব্লক থেকে দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে সরকারের তরফে। এরপরেই বাকি পৌরসভা ও ব্লকগুলিতে চালু করা হবে বলে জানা গেছে। সেখানে রাজ্য সরকারের তরফে সারা রাজ্যের রেশন ডিলারদের অস্থায়ীভাবে কিছু লোকজনকে নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে 384 টাকা করে দিয়ে কাজ করানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু রাজ্যের ডিলাররা সরকারের সেই প্রস্তাবে রাজি না হয় তারা যে রেশনের জিনিসপত্র গ্রাহকদের বিলি করেন তার কুইন্টাল প্রতি 70 টাকার পরিবর্তে 200 টাকা করে দেওয়া দাবি করেন। তারাই জিনিসপত্র পৌঁছে দেবেন বলে জানান। এই পর্যন্ত রেশন ডিলার ও রাজ্য সরকারের খাদ্য দপ্তর এর সঙ্গে তা আলোচনা হয়েছে মাত্র কোন সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি বলে খবর।


ইতিমধ্যেই গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারপারসন প্রশান্তর মিত্রের কাছে খবর আসে যে, খাদ্য দপ্তরে দুয়ারে রেশন প্রকল্পে কর্মী নিয়োগ করা হবে বলে অসাধু চক্র ফরম তৈরি করে ভোট প্রচার শুরু করে দিয়েছে। এই ঘটনা জানার পরেই তিনি জেলা খাদ্য দপ্তর থেকে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নিতে শুরু করেন। তারাই চেয়ারপারসনকে জানান, এমন কোন নিয়োগের বিষয় নেই যারা করছে তারা অসাধু চক্র এমন কাজ করে যাচ্ছে।


গঙ্গারামপুর পৌর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপারসন প্রশান্ত মিত্র জানিয়েছেন, এমন প্রচারের জন্য যে সমস্ত অসাধু চক্র বেকারকে ঠকিয়ে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে করা হাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


গঙ্গারামপুর মহাকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মনোতোষ মন্ডল, এমন কোন নিয়োগের বিষয়ে তার জানা নেই। যারা এমন কাজ করছে তারা অসাধু চক্র। সকলকে সচেতন হবার কথা বলছি তারা যেন এমন ভুয়া প্রচারে পা না দেয়।

দক্ষিণ দিনাজপুরে এম আর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি কমলে ফৌজদার জানিয়েছেন, আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে খাদ্য দপ্তরের সেটা ঠিক। কিন্তু আমরা বলেছি নতুন করে কোনো কর্মী না নিয়োগ করে পুরনো দিয়ে কাজ করলে ভালো হয়। আমাদের যদি কিছু টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয় সেটাই ভালো হয়।


জেলা খাদ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, এমন নিয়োগের বিষয়ে তার কাছে কোনো খবর নেই। যারা এমন করছে তাদের অন্য ব্যাপার আছে।

পুলিশ প্রশাসনের তরফ এ গুয় এমন প্রচারের জন্য কারা জড়িয়ে রয়েছে তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here