শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর ১৮ আগষ্ট দক্ষিণ দিনাজপুরঃ-ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন বড়মা দুই বছরের শিশুকে ঘুমন্ত অবস্থায় ঘরের ঢুকে বিছানার খাট থেকে তুলে আছাড় মারছে সেই ঘটনার ছবি ভাইরাল। ঘটনাটি মালদা জেলার বামনগোলা থানার রাঙ্গাভিটা এলাকায়। নিজের শিশু সন্তানকে বাঁচাতে ওই শিশুর বাবা তাঁর শশুরবাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পুর্বহালদারপাড়ায় এসে আশ্রয় নিয়েছেন। শিশুর মাও তাঁর শশুর বাড়িতে আর যেতে চাইছেন না। ঘটনার ছবি প্রকাশ হতেই ওই শিশুর বড়মা তাঁর মালদা জেলার বামনগোলা থানার রাঙ্গাভিটা এলাকা থেকে পালিয়ে গিয়েছেন।কেন বড়মা করেন এমন ঘটনা উত্তর খুঁজতে গিয়ে যানা গেল শিশুটি নাকি তাঁর হাতে কামড়ে দিয়েছে তার প্রতিশোধ হিসেবে সে এমনটা করেছে । এমন হারহিম করা ঘটনা রীতিমত শোরগোল পরেছে গঙ্গারামপুর সহ জেলাজুড়ে।
ওই শিশুর পরিবার সুত্রে যানা গিয়েছে তাঁর নাম বিবেক বিশ্বাস(২) বছর বাবার বাড়ি মালদা জেলার বামনগোলা থানার রানিভিটা এলাকায়। অভিযুক্ত এই বড়মার নাম শিবানি বিশ্বাস, তাঁর স্বামীর নাম অচিন্ত বিশ্বাস। বাড়ি মালদা জেলার বামনগোলা থানার রানিভিটা এলাকায়। শিশুর বাবা বিরের বিশ্বাস মাছের ব্যবসা করতেন। স্ত্রী অর্পনা বিশ্বাসের একমাত্র ছেলে বিবেক।

ওই শিশুর পরিবার সুত্রে খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁদের বাড়িতে শিশু বিবেককে ঘুমন্ত অবস্থায় বিছানায় রেখে যাবার পরে সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার হঠাৎ করে ঘুমানো অবস্থায় খুব কান্নাকাটি শুরু করে সে। তবে অভিযুক্ত ওই শিশুর বড়মা শিবানি বিশ্বাসকে শিশুর মা জিজ্ঞাসা করতেই সে জানাই কিছুতো ধরেছে ওকে। এর মাঝে ওই শিশুর হাতে পায়ে দেখা যায় বিভিন্ন সময়ে কালো থ্যাকা দেওয়া দাগ।
ওই শিশুর মা অর্পনা বিশ্বাসের অভিযোগ, আমার সন্দেহ হয় জায়ের দিকেই। হঠাৎ একদিন ঘরের মধ্যে মোবাইল লুকিয়ে রেখে দিয়ে বের হয়।পরে দেখি আমার জা ছেলেকে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁকে বিছনা থেকে তুলে আছাড় মারছে। নিজের জীবন ও ছেলেকে বাঁচাতে পরিবার নিয়ে বাবার বাড়ি গঙ্গারামপুরের পুর্বহালদারপাড়াতে চলে আসি।
শিশুর বাবা বিকি বিশ্বাসের অভিযোগ,বৌদির হাতে ছেলে একদিন কাপড় দিয়েছিল সেই কারণেই এমন ঘটনা করেছে।থানাতে লিখিত অভিযোগ করতে চেয়েছিলাম,বৌদি শেষ করে দিতে চেয়েছিল। তাই পরিবার নিয়ে শশুর বাড়িতে এসে আশ্রয় নিয়েছি। এখানে এসে সেই ভিডিও প্রকাশ করলাম।

ওই শিশুর মামি গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বহালদারপাড়ার বাসিন্দা জানান,দোষির কঠোর শাস্তি হোক সেই দাবি জানাই।
সত্যি মানুষের আজ মানুষত্ব কোথায় গেছে?ছেলে শিশুর সঙ্গে প্রতিশোধ নিতে এমন হারহিম করা ঘটনাও কোন মহিলা ঘটাতে পারে ছবিতে না দেখতে হয়ত কেউ বিশ্বাস করতেই পারবেনা।
এমন ঘটনায় রীতিমত শোরগোল পরেছে এলাকায়। ওই শিশুর বড়মাকে গ্রেফতার করার দাবি তুলেছেন সকলেই।