দুই কোটির প্রকল্পে উন্নয়নের ধোঁয়া বালুরঘাটে! সুডার বিশেষ প্রতিনিধিদলের পরিদর্শনে পুর প্রকল্প নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ জলি চৌধুরীর

0
86

দুই কোটির প্রকল্পে উন্নয়নের ধোঁয়া বালুরঘাটে! সুডার বিশেষ প্রতিনিধিদলের পরিদর্শনে পুর প্রকল্প নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ জলি চৌধুরীর

বালুরঘাট, ১৩ জুন ——খিদিরপুরে আগুন নিভলেও, চকভবানীতে জ্বলবে নতুন আশার আলো! শহরের পরিকাঠামোয় মোক্ষম অস্ত্র নামাচ্ছে বালুরঘাট পুরসভা। দাহপ্রক্রিয়ার দীর্ঘ জট কাটাতে এবার দুই কোটি টাকা ব্যয়ে বসানো হচ্ছে দ্বিতীয় ইলেকট্রিক চুল্লি। সরকারি অনুমোদনের সিল পড়তেই তৎপর পুরপ্রশাসন। শীঘ্রই টেন্ডার ডেকে শুরু হবে মূল কাজ বললেন চেয়ারম্যান।

পুরপ্রধান অশোক মিত্র জানিয়েছেন, “খিদিরপুরের একমাত্র ইলেকট্রিক চুল্লিতে প্রায় প্রতিদিনই চাপ বাড়ছে। সেই চাপে ভারসাম্য ফেরাতে চকভবানীতে বসছে আধুনিক, নতুন ইলেকট্রিক চুল্লি।”

শুধু নতুন চুল্লিই নয়, শুক্রবার বালুরঘাট পুরসভার একাধিক প্রকল্পের কাজের গতি খতিয়ে দেখেন SUDA-র (State Urban Development Agency) ছয় সদস্যের একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল। যার নেতৃত্বে ছিলেন সুডা-র ডিরেক্টর জলি চৌধুরী। এদিন যে প্রতিনিধি দলটি খতিয়ে দেখেন পুরসভার একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প—ডাঙ্গির ভাগাড়ে নির্মীয়মাণ সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট, জেলা হাসপাতালের সামনে মা ক্যান্টিন, এবং অন্যান্য নগর উন্নয়নমূলক পরিকাঠামো। বছরের পর বছর ধরে ভাগাড় ঘিরে বর্জ্য সমস্যা নিয়েই হিমশিম খাচ্ছিল শহর। সেই ব্যবস্থাকে আধুনিক করতে ভাগাড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে বিজ্ঞানসম্মত নিষ্পত্তি ইউনিট। পাশাপাশি, সমাজিক দায়বদ্ধতার প্রকল্প হিসেবে মা ক্যান্টিনের খাবারের গুণমান ও পরিবেশও খুশি করেছে প্রতিনিধিদের। সবমিলিয়ে সুডার প্রতিনিধি দল “উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি” দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে সূত্রের খবর। এদিন যে পরিদর্শনে সুধার ডিরেক্টর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র, কাউন্সিলরবৃন্দ এবং একাধিক পুর আধিকারিক। পুরসভা সূত্রে খবর, নতুন চুল্লি বসানো হলে একদিকে যেমন সৎকার প্রক্রিয়া হবে দ্রুত, তেমনই খিদিরপুরের চুল্লিতে চাপ অনেকটাই কমবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here