দীর্ঘ ১৩মাস নায্য বেতন না পেয়ে অবশেষে এবার ধর্মঘট ও আন্দোলনের পথে হাটলো ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডের অস্থায়ী কর্মীরা।

0
407

শিলিগুড়ি:-দীর্ঘ ১৩মাস নায্য বেতন না পেয়ে অবশেষে এবার ধর্মঘট ও আন্দোলনের পথে হাটলো ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডের অস্থায়ী কর্মীরা।গত বুধবার থেকে তাদের এই আন্দোলনের কর্মসূচী শুরু হলে,বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির বিএসএনএল-এর গেট বন্ধ করে প্রশাসনিক ভবনেই বিক্ষোভ দেখালো অস্থায়ী কর্মীরা।ফলে একদিকে যেমন পরিশেবা বিঘ্নিত হয়,অন্যদিকে বিএসএনএল-এ আসা গ্রাহক ও অন্যান্য সাধারণ মানুষদের হয়রানির শিকার হতে হয়। দু’দিন ধরে অস্থায়ী কর্মীদের চলা কর্মসূচীর এদিন বিএসএনএল এর মুখ্য প্রশাসনিক দপ্তরের প্রধান গেট বন্ধ করে দিয়ে বকেয়া বেতানে দাবিতে সরব হয় অস্থায়ী কর্মীরা।গেটের সামনেই প্লাকার্ড,পোষ্টার হাতে কয়েক’শ কর্মী বসে পরে বিক্ষোভ দেখায়।অস্থায়ী কর্মীদের অভিযোগ,দীর্ঘদিন ধরে বিএসএনএল-এ অস্থায়ী হিসেবে কর্মরত তারা।বিভিণ্ন রকম পরিশেবার কাজে তাদের ব্যবহার করে বিএসএনএল।কিন্তু বিগত ১৩ মাস যাবৎ তাদের কোন রকম বেতন দিচ্ছে না কতৃপক্ষ।ইতিমধ্যে একাধিক বার বেতন চেয়ে আধিকারিকদের কাছে আর্জিও জানিয়েছেন তারা৷তাতে কোনো রকম কোন কাজই হয় নি।মাঝে একবার একমাসের বেতন পেলেও পরবর্তিতে আবারও বন্ধ হয়ে যায় তাদের বেতন।ফলে দীর্ঘ লকডাউনের পর তাদের আর্থিক অবস্থা শোচনীয় হয়ে ওঠায় এবার বাধ্য হয়েই আন্দোলনের পথে নামেন তারা।পুজোর আগে বেতনের দাবী জানিয়ে দপ্তরের মুখ্য দ্বার বন্ধ করেই বিক্ষোভ দেখায় কার্মীরা।অস্থায়ী কর্মী অশোক দাস জানান,এর আগে বিএসএনএল ম্যানেজমেন্টের কাছে তাদের বেতন চেয়ে বহুবার আবেদন করা হয়েছিল।এর আগেও আন্দোলন করে একমাসের বেতন পাওয়া গেলেও ফের বন্ধ হয়ে যায় বেতন।তারপরেও বহুবার দরবার করে কোন লাভ হয় নি।এরপরেও জিএম এর কাছে জানানো হয়েছে।তাতেও কোন সমাধান হয় নি।এই মুহুর্তে ১৩মাসের বেতন বকেয়া রযেছে তাদের।এই আন্দোলন করে ১৪মাসের বেতন একসাথে না পেলেও অন্তত ছয় মাসের বেতন দিলে পুজোর সময় সংসার চালাতে পারবেন তারা।গত দুদিন ধরে আন্দোলন করেও কোন সুরাহা না হওয়ায় এদিন তারা বিএসএনএল-কতৃপক্ষের ঘুম ভাঙাতেই প্রধান ফটক বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখান।আগামী দিনেও তাদের দাবী না মানা হলে এবং তাদের বকেয়া বেতন মিটিয়ে না দিলে এই আন্দোলন আরোও বৃহত্তর আকার নেবে বলে হুমকি দেন অশোক বাবু।ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের শিলিগুড়ি থানার পুলিশ।পুলিশি হস্তক্ষেপে পরে মুল গেট খুলে দেওয়া হলেও আন্দোলন ও বিক্ষোভ বজায় রাখে অস্থায়ী কর্মীরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here