দিল্লি থেকে বালুরঘাটগামী প্রথম শ্রেনীর এসিতে যাত্রী ও তার পরিবারের দামি তিনটি ব্যাগ কেটে দিলো ইঁদুর, ক্ষতিপূরণের দাবি নিয়ে কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা ও তার পরিবার অভিযোগ দায়ের করলেন রেলের বিভিন্ন জায়গায়,ব্যাগের ক্ষতিপূরণ না পেলে আদালতে যাওয়ার যাবেন বলে তারা জানান,শোরগোল শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ৭ই এপ্রিল।দিল্লি থেকে বালুরঘাটগামী ফারাক্কা এক্সপ্রেস ট্রেনের এবার যাত্রীদের ব্যাগ চুরির ঘটনা নয়,ক্ষতি হয়েছে দামি ৩টি ব্যাগের,যা ট্রেনের মধ্যে কেটে দিয়েছে ইঁদুর বলে দাবি ওই ট্রেন যাত্রীদের।সেই ব্যাগের ক্ষতিপূরণের দাবি নিয়ে সোচ্চার হলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ থাকার বাসিন্দা রাজ ঠাকুর ও তার পরিবার।কাটিহারের রেল বিভাগের ডিআরএম থেকে শুরু করে রেল বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।রেল বিভাগের কাটিহার বিভাগের ডিআরএম বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কয়েকদিন আগে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা রাজ ঠাকুর ও তার স্ত্রী রাধারাণী ঠাকুর দিল্লিতে ঘুরতে গিয়েছিলেন।গত ৫ এপ্রিল দিল্লি স্টেশন থেকে বালুরঘাটগামী ফারাক্কা এক্সপ্রেস ট্রেনে প্রথম শ্রেণীর এসিতে বসে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন তারা।বেশ কয়েক ঘন্টার ট্রেন যাত্রার জন্য তিনি ও তার পরিবারে স্ত্রীর তিনটি দামি ব্যাগ একটি তাদের সিটের উপরে ও বাকি দুটি ট্রেনের সিটের নিচে রেখেছিলেন বলে তারা দাবি করেন।সোমবার সকালে মালদা স্টেশনে ট্রেন ঢুকতেই চোখ কপালে ওঠে কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা রাজ ঠাকুর ও তার স্ত্রী রাধারানী ঠাকুরের। ওই ট্রেন যাত্রী ও তার স্ত্রী দাবি করেন,তিনটি দামি ব্যাগই ইঁদুর কেটে দেওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়তে হল তাদের। কালিয়াগঞ্জ বাসিন্দা রাজ ঠাকুরের অভিযোগ,”হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে যদি এমন পরিস্থিতি হয় তাহলে রেল যাত্রী ও তাদের জিনিসের সুরক্ষা কোথায়?ট্রেনে চরম অবস্থা, প্রয়োজনে ক্ষতিপূরণ পেতে আদালতে যাব।” ট্রেন যাত্রী তথা রাজ ঠাকুরের স্ত্রী রাধারানী ঠাকুর অভিযোগ করে বলেন,”ট্রেনের যাত্রী ও তাদের জিনিসের নিরাপত্তা দেওয়ার কোনো ব্যবস্থাই করছে না রেল দপ্তর। ট্রেনের মধ্যে পরিষেবা সমস্ত জিনিসই শুধু নেই,যার কারণে ক্ষতির মুখে পড়লাম আমরা। বিষয়টি রেল দপ্তরকে দেখা উচিত।” বুনিয়াদপুর স্টেশনে নামার পরে ট্রেনের আরো দুই যাত্রী মাধব সরকার,দেবু দাসেরা দিল্লি ফারাক্কা এক্সপ্রেস ট্রেনের চরম অবস্থার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।তারাও দাবি করেন,”টাকা যখন মোটা অংকের গুনছে হচ্ছে যাত্রীদের, তাহলে যাত্রী ও তাদের জিনিসপত্রের নিরাপত্তা দিক রেল দপ্তর। ক্ষতির মুখে বললে ক্ষতিপূরণ দেখে দপ্তর।” কাটিয়ার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন,”মৌখিকভাবে ও পরে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি রেল যাত্রী ও তাদের পরিবারের কাছ থেকে।পুরো বিষয়টি প্রতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Home উত্তর বাংলা দক্ষিণ দিনাজপুর দিল্লি থেকে বালুরঘাটগামী প্রথম শ্রেনীর এসিতে যাত্রী ও তার পরিবারের দামি তিনটি...