‘দাদার কীর্তি’তে দাদাগিরি, বালুরঘাটে নাটকের মঞ্চ মাতালেন সাংসদ পার্থ
বালুরঘাট, ১২ মে ——-রবিবার সন্ধ্যায় নাটকের শহর বালুরঘাট এক চমকপ্রদ সন্ধ্যার সাক্ষী থাকল। সাংসদ যখন অভিনেতা, তখন রাজনীতির গাম্ভীর্য ফেলে মঞ্চে উঠে এল এক অনবদ্য প্রাণপ্রবাহ। ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক এদিন মঞ্চে অভিনয় করলেন ‘দাদার কীর্তি’ নাটকে—আর মুগ্ধ দর্শক শুধু চোখ মেলে তাকিয়ে রইলেন।
তরুণ মজুমদারের অমর চলচ্চিত্র এবার রূপ নিল নাট্যরঙ্গে। নির্দেশনায় অরিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়, আর নেপথ্যে নাট্যচিন্তক ব্রাত্য বসুর মেধা ও মমতা। অভিনয়ে পার্থ এমন দাগ কাটলেন যে দর্শকেরা একবারের জন্যও তাপস পালের স্মৃতিতে হারাতে চাননি। নাটকের নিজস্বতা এমনই ছিল যে চলচ্চিত্র ও নাটকের তুলনা অপসারিত হল স্বাভাবিক নিয়মেই।
বালুরঘাট রবীন্দ্র ভবনের আসনভর্তি দর্শকদের চোখে ছিল বিস্ময়, মুখে প্রশংসা। মঞ্চে ছিলেন ‘নৈহাটি ব্রাত্যজন’ ও ‘নৈহাটি নাট্য সমন্বয়’ দলের শিল্পীরা। দর্শকাসনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র, যিনি নিজে নাট্যোৎসবের অন্যতম উৎসাহদাতা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুরপ্রধান অশোক মিত্র, নাট্যব্যক্তিত্ব প্রদোষ মিত্র, দুর্গাশংকর সাহা প্রমুখ।
সাংসদ তথা অভিনেতা পার্থ ভৌমিক জানান, ‘বালুরঘাটে নাটকের ঐতিহ্য রয়েছে। এখানে নাটক করাও সম্মানের। এই সুযোগ সকলে পায় না। এখানে দেবশংকর হালদার, সুরঞ্জনা দাশগুপ্তের মতো নাট্য জগতের নাম করা ব্যক্তিত্ব নাটক করবেন। আমি প্রথম বালুঘাটের মঞ্চে অভিনয় করব। উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র জানান, “নাটক যে এত জীবন্ত হতে পারে, তা না দেখলে বিশ্বাস করতাম না।”
বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র নাটকের শহরে এই চারদিনের নাট্য উৎসবে সকলকে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
চারদিনের এই নাট্যোৎসব ঘিরে শহর জুড়ে ফের প্রাণের সঞ্চার। বালুরঘাট বুঝিয়ে দিল, নাটকের রূপ আজও অমলিন।
