উত্তর দিনাজপুর:—” বিজেপি মানবিকতা হারিয়ে ফেলেছে। এই দলের নেতাদের মনুষ্যত্ব বিবেক নেই, শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই রাজ্যের দুইজন মন্ত্রী ও দুজন বিধায়ককে এই অতিমারি করোনার মহামারীর সময়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে আর এখন সিবিআই দ্বারা ঘরে নজরবন্দি করে রেখেছে “। এই দলটা আগে কোনওদিন করিনি তাই এদের চরিত্র বুঝতে পারিনি “। এমন মন্তব্য আর কেউ নয় খোদ বিজেপি নেতা অমল আচার্যের। তাঁর মোহভঙ্গ হয়েছে বলেই তিনি এই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানালেন উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহারের প্রাক্তন বিধায়ক বিজেপি নেতা অমল আচার্য।
বিধানসভা নির্বাচনে তৃনমূল কংগ্রেসের টিকিট না পেয়ে দলত্যাগ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর হাত ধরে বিজেপি দলে নাম লিখিয়েছিলেন ইটাহারের দুবারের বিধায়ক অমল আচার্য। গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর পর তাঁকে বিজেপির জেলা সহ সভাপতির পদও দেওয়া হয়। কিন্তু বিজেপির অনৈতিক অমানবিক আচরণে ক্ষুদ্ধ বিজেপি নেতা অমল আচার্য। তিনি বলেন, এই অতিমারি করোনার সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা যেভাবে কোভিড মোকাবিলা করছেন, রাজ্যের মানুষকে করোনার হাত থেকে বাঁচাতে যেভাবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিক সেইসময় বিজেপি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে রাজ্যের দুই মন্ত্রী এবং দুজন বিধায়ককে সিবিআইকে পরিচালিত করে গ্রেপ্তার করে হেনস্থা করছে। একজন প্রবীন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কলকাতার মহা নাগরিক যিনি কলকাতায় ভয়াবহ করোনাকে দক্ষহাতে সামাল দিচ্ছেন এই সময় তাঁদের গ্রেপ্তার করে চরম অমানবিক কাজ করছে বলে অভিযোগ তুললেন উত্তর দিনাজপুর জেলার বিজেপি নেতা অমল আচার্য। বিজেপির এহেন আচরণে তিনি ক্ষুদ্ধ হয়েই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সাথে এই কোভিড পরিস্থিতিতে একসাথে লড়াই করার জন্যই বিজেপি ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বিক্ষুদ্ধ এই শুভেন্দু অনুগামী বিজেপি নেতা তাঁর পুরোনো দল তৃনমূল কংগ্রেসে ফিরে যাওয়ার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এবং মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আবেদনপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। তাঁর স্বীকারোক্তি তিনি বুঝতে পারেননি বিজেপি দল কি ভয়ানক কাজ করতে পারে।