দলিল কারচুপি করে নিজের নামে করে নিয়ে মাকে বাড়ি থেকে মারধর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ

0
1114

রায়গঞ্জ:——-দলিল কারচুপি করে নিজের নামে করে নিয়ে মাকে বাড়ি থেকে মারধর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুত্র ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের পশ্চিম বীরনগর এলাকায়। খবর করতে গিয়ে সাংবাদিকদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগও উঠেছে ওই পুত্র ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। যদিও অভিযুক্ত পুত্র ও পুত্রবধূ মাকে মারধর করা বা বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের পাল্টা দাবি এই বাড়ি তাদের নামেই রয়েছে এবং তাঁরা বাড়ি সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছেন।

রায়গঞ্জ শহরের পশ্চিম বীরনগর এলাকার বাসিন্দা আলেয়া খাতুন তাঁর বাড়িতেই মেসের ছেলেদের রান্নার কাজ করে স্বামীস্ত্রী দিনাতিপাত করেন। আলেয়া দেবীর অভিযোগ, তাঁর ছেলে সাইদুল আলম ও ছেলের বৌ মারুফা সুলতানা বাড়ির দলিল কারচুপি করে নিজেদের নামে করে নিয়ে সেই বাড়ি ভেঙে সংস্কার করার পাশাপাশি নতুন করে নির্মান করছে। শুধু তাই নয়, তাঁকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই বিষয়ে তিনি রায়গঞ্জ থানা, রায়গঞ্জ পুরসভা এবং রায়গঞ্জ বি এল আর ও সহ বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও কোনও সুরাহা পাননি। অসহায় বৃদ্ধাকে ঠকিয়ে তাঁর পুত্র ও পুত্রবধূ বাড়ির দলিল নিজেদের নামে করে নিয়েছে। প্রায় এক বছর ধরে ওই বৃদ্ধার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছে তারা। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগও উঠেছে ওই পুত্র ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। যদিও বৃদ্ধার পুত্র সাইদুল আলম জানিয়েছেন এই বাড়ির জায়গা তিনি তাঁর স্ত্রীর নামেই কিনেছেন এবং রেজেষ্ট্রি করার সময় তাতে বাবা, মা ও ভাইয়ের সইও রয়েছে। তিনি বলেন মা যে মারধর করার অভিযোগ তুলেছেন তা সত্য নয়। বরং মাই তাঁর স্ত্রীকে মারধর করেছে। পুত্রবধু মারুফা সুলতানা জানিয়েছেন, এই বাড়ির জায়গা তিনি শ্বশুর শ্বাশুড়ির কাছ থেকে কিনে নিয়ে তা সংস্কার করার কাজ শুরু করেছি। কিন্তু তাঁরা করতে দেবেন না। আমরা বলেছি যেভাবে বাবা মা নীচতলায় থাকেন তারা থাকবেন কিন্তু ওরা ইচ্ছে করেই ঝামেলা বাধাচ্ছেন। কাউকে কোনও মারধর করা বা বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। রায়গঞ্জ শহরের পশ্চিম বীরনগর এলাকার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here