শীতল চক্রবর্তী ,গঙ্গারামপুর ,১ আগস্ট, দক্ষিণ দিনাজপুর:-দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি পদে পরিবর্তন করা হলো। উজ্জ্বল বসাকে সরিয়ে গঙ্গারামপুরের ব্লক সভাপতি মিনাল সরকারকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি করা হয়। মৃণাল বাবু রাজ্য সাধারণ সম্পাদক গৌতম দাস ঘনিষ্ঠ বলে খবর। এদিন রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে তার নাম ঘোষণা করতেই গৌতম দাসের বাড়িতে জেলা তৃণমূলের একাধিক নেতারা হাজির হন।হাজির হন নতুন জেলা সভাপতিও। মৃণাল বাবু জানালেন, জেলাতে সকলকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করবেন তিনি।
গৌতম দাস যখন জেলা তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন তখন গঙ্গারামপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি করা হয় গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিকরের বাসিন্দা মৃণাল সরকারকে।সেই সময় মৃণাল সরকার গঙ্গারামপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের খেতমজুর গঙ্গারামপুর ব্লক সভাপতি ছিলেন। সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃণাল বাবু যখন গঙ্গারামপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হন তখন থেকেই ব্লকের এগারোটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত নেতৃত্বদের সঙ্গে কথা বলে ভালোভাবেই তিনি দলের সংগঠন চালাচ্ছিলেন।
ইতিমধ্যেই এডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চ্যাটার্জি সহ তার ঘনিষ্ঠ একজন।এর পরেই সোমবার রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বদের তরফে বেশ কয়েকটি জেলার সভাপতি চেয়ারম্যানদের পরিবর্তন করেন। যদিও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার চেয়ারম্যান পদে রাখা হয় নিখিল সিংহ রায়কেই।জেলা সভাপতি পদে থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় কুমারগঞ্জের বাসিন্দা উজ্জ্বল বসাককে। সেই জায়গায় বসানো হয় গঙ্গারামপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্বে থাকা মৃণাল সরকারকে। দুপুরে রাজ্য নেতৃত্বের সই করা একটি কাগজে জেলা সভাপতি হিসেবে নাম আসে মৃনাল সরকারের। সূত্রে জানা গেছে এজেলা সভাপতি কে হবে তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই দড়ি টানাটানি চলছিল তৃণমূলের দুপক্ষের মধ্যে।কোন পক্ষের হাতে যাবে ক্ষমতা, তা নিয়েও শোরগোল ছড়িয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। উভয়পক্ষ তাদের নেতাদের সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ও তুলেছিল। কিন্তু শেষ হাসি হাসলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা গঙ্গারামপুরে প্রাপ্তন বিধায়ক গৌতম দাস বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। এদিন জেলা সভাপতি পরিবর্তন হয়ে মৃণাল সরকারের নাম আসতেই তপনের গৌতম দাসের বাড়িতে জেলা সভাপতি মৃনাল সরকারকে নিয়ে জেলা একাধিক নেতারা হাজির হন। মুখে মিষ্টি হাসিও দেখতে পাওয়া যায় গৌতম দাসের। শুভেচ্ছার বন্যায় ভরে যান যুবক মৃণাল সরকারও।
এদিন মৃণাল বাবু জানান, দল বড় দায়িত্ব দিয়েছে। জেলার সমস্ত নেতাদের একসঙ্গে নিয়ে কাজ করাই হবে আমার লক্ষ্য। এর পাশাপাশি হারিয়ে যাওয়া লোকসভা আসনটি আমরা ২৪শে দখল করব।
এখন দেখার বিষয় গঙ্গারামপুরের এই তরুণ যুবক জেলা সভাপতি পদে বসার পরে তিনি কিভাবে দল পরিচালনা করে সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করেন সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে সকলে।