দক্ষিণ দিনাজপুরের রেজেস্ট্রি অফিসগুলিতে চোরের আতঙ্ক! কারণ জানলে আঁতকে উঠবেন আপনিও

0
1173

দক্ষিণ দিনাজপুরের রেজেস্ট্রি অফিসগুলিতে চোরের আতঙ্ক! কারণ জানলে আঁতকে উঠবেন আপনিও

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১৯ জানুয়ারী ———- কর্মী সংকটে জেরবার! নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে রেজেস্ট্রি অফিসগুলি। আতঙ্কের কথা শুনিয়ে ক্যামেরার সামনে ক্ষোভ উগড়ালেন খোদ ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার। ঘটনাকে ঘিরে তুমুল হইচই দক্ষিণ দিনাজপুরে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার কুমারগঞ্জের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের জানালা ভেঙে দু:সাহসিক চুরির ঘটনা সামনে আসে। ভল্ট ভেঙে সরকারী লক্ষাধিক টাকাও চুরি করে নিয়ে যায় দুস্কৃতিরা। থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে খোদ সরকারি অফিসে এমন চুরি নিয়ে কার্যত প্রশ্নের মুখে পড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যে চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে আসবার পরেই নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে এবারে ক্ষোভ উগড়ে দেন খোদ ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারও। দপ্তর সুত্রের খবর অনুযায়ী, সমগ্র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় রেজেস্ট্রি সংক্রান্ত কাজকর্মের জন্য মোট আটটি সাব-রেজেস্ট্রি অফিস রয়েছে। যেখান থেকেই বছরে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে সরকার। কিন্তু উল্লেখযোগ্য ভাবে জেলার ওই আটটি সাব-রেজেস্ট্রি অফিসের কোথাও নেই কোন নৈশ প্রহরী। শুধু তাই নয় সরকারী ওই অফিসগুলির কর্মীর সংখ্যা কার্যত অবাক করেছে প্রায় সকলকেই। পরিসংখ্যান অনুযায়ী জেলার ওই আটটি সাব রেজিস্ট্রি অফিস পরিচালনার জন্য মোট ৮৯ জন কর্মী থাকবার কথা থাকলেও, বর্তমানে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৭ জনে। যা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন ? সাতজন সরকারি কর্মী কিভাবে আটটি সাব রেজিস্ট্রি অফিস পরিচালনা করবেন, তা ভেবেই যেন চমকে উঠেছেন অনেকে। আর যা প্রকাশ্যে এনে নিজেদের নিরাপত্তার কথা উসকে দিয়ে কার্যত ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন খোদ জেলার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার। শুধু তাই নয় ২০২২ সাল থেকে সরকারী ওই অফিসগুলির নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ের জন্য একাধিকবার লিখিত আবেদন করেও যে তার কোন সাড়া পাননি তাও উল্লেখ করেছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার। তবে কি রেজেস্ট্রি অফিসগুলির অবাক করা কর্মী সংখ্যায় সেই অফিসগুলিতে চুরির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ? খোদ ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের এমন মন্তব্যে সেই বিষয়টিই যেন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে গোটা দক্ষিন দিনাজপুরে।

দক্ষিন দিনাজপুরের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রজনী কিরো জানিয়েছেন, কর্মীর সংকটে জেরবার অবস্থা তাদের। জেলার আটটি অফিস পরিচালনার জন্য মাত্র সাত জন কর্মী রয়েছেন। বছরে ৪৫ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হলেও অফিসগুলির পরিকাঠামোর জন্য সেভাবে গুরুত্ব নেই। যার কারনে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here