দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রাক্তন তৃণমূলের জেলা সভাপতি বর্তমানে কুমারগঞ্জের ব্লক সভাপতি, ঘটনা নিয়ে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা

0
491

দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রাক্তন তৃণমূলের জেলা সভাপতি বর্তমানে কুমারগঞ্জের ব্লক সভাপতি, ঘটনা নিয়ে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা, তৃণমূল বলছে দল ভালো বুঝেই করেছে


শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর ১৮ই আগস্ট দক্ষিণ দিনাজ। কয়েকদিন আগে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি উজ্জ্বল বসাককে সরিয়ে দিয়ে মৃণাল সরকারকে সেই পদে বসিয়েছেন। ফের আবার কুমারগঞ্জের বাসিন্দা উজ্জ্বল বসাককে ব্লক সভাপতি দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব।তৃণমূলের জেলা সভাপতি এখন ব্লক সভাপতির দায়িত্ব পেল এটা কি হতে পারে ।যে ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই সুর ছড়িয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অবশ্য বলছে, দল সব দিকে বিচার করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


প্রায় ছয় মাসের বেশি সময় ধরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন কুমারগঞ্জের বাসিন্দা শিক্ষক সংগঠনের নেতা উজ্জ্বল বসাক। গৌতম দাসকে সরিয়ে দিয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব শিক্ষকের নেতাকেই জেলা তৃণমূলের সভাপতি করেছিলেন। ফের এক বছরের মধ্যেই উজ্জ্বল বসাককে সরিয়ে দিয়ে সেই পদে আনা হলো গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিকরের বাসিন্দা মৃণাল সরকারকে। মৃনালবাবু অবশ্য উজ্জ্বল বাবুর জেলা সভাপতি থাকাকালীন গঙ্গারামপুরের ব্লক সভাপতি ছিলেন। তিনি গঙ্গারামপুর ব্লকের সংগঠন ভালো মতো সাজিয়েছিলেন বলে গঙ্গারামপুরের ১১টি অঞ্চল সভাপতি বেশিরভাগ জনই এমনই মন্তব্য করেন। জেলা সভাপতি পদ উজ্জ্বল বাবু চলে যাওয়ার পরে আবার কি তিনি ব্লক সভাপতি হতে পারেন?
এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল নতুন জেলা তৃণমূলের সভাপতি মৃণাল সরকারকে। তিনি অবশ্য জানালেন, রাজ্য নেতৃত্ব সবকিছু ভালো ভেবেই করেছে। এতে দল আরো শক্তিশালী হবে।
বিজেপির রাজ্য কমিটির নেতা মানুষ সরকার অভিযোগ করে বলেন, এটা পিসি ভাইপোর দল বলেই সম্ভব। সংগঠনে একবার কেউ জেলা সভাপতি হলে তাকে আবার নিচের পদ দেওয়া হাস্যকর ছাড়া আর কিছু না।
সিপিএমের গঙ্গারামপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক অচিন্ত্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এটা ওদের দলের ব্যাপার। আমাদের সংগঠন তো রীতিমতো সম্মেলন করে হয়। এতো দেখছি যা ইচ্ছে তাই হচ্ছে। সেটা তৃণমূলই একমাত্র সম্ভব।
এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা রাজনৈতিক মহলে জোড় গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তাহলে কি তৃণমূল তাদের সংগঠনিক গঠনতন্ত্র মানছে না। নাকি পিসি ভাইপোর দল তারা যেটা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই তারা করে ছাড়বেন সেই প্রশ্নের ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বত্রই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here