শিলিগুড়ি:-
শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া নিউ জলপাইগুড়ি থানা এলাকার ফুলবাড়িতে তিস্তা ক্যানেলের গভীর খাদ থেকে গত ১৭ই ডিসেম্বর উদ্ধার হয় এক যুবকের মৃতদেহ।পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে ওই যুবককে খুন করে ক্যানেলের গভীর খাদে ফেলে দেওয়া হয়।গত ১৭ই ডিসেম্বর সাত সকালে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ফুলবাড়ী ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার রাজীব পাড়া ক্যানেল মোড় এলাকায়।তদন্তে নেমে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ জানতে পারে মৃত যুবকের নাম নীতেশ রায়,বাড়ি রাজগঞ্জ থানা অন্তর্গত ফকির দ্বীপ এলাকায়।এই ঘটনার তদন্তের নেমে পুলিশের কাছে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য।পুলিশ জানতে পারে এই ঘটনার পেছনে ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনী লুকিয়ে থাকতে পারে।আর এই ভাবনায় তদন্ত এগোতে থাকে পুলিশ।অবশেষে মেলে সাফল্য।মৃতের স্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তদন্তে এগিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি থানার তদন্তকারী অফিসার জানতে পারেন এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত যোগেশ রায়,যার বাড়ি প্রধাননগর থানা এলাকায়।এরপর থেকেই অভিযুক্ত যোগেশ রায়কে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া শুরু করে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ।কিন্তু এই খুনের ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিল অভিযুক্ত।অনেক চেষ্টার পরেও তাকে ধরতে অক্ষম হয় নিউ জলপাইগুড়ি থানার তদন্তকারী অফিসার।অবশেষে রবিবার মিলে গেল সাফল্য।যোগেশ রায়কে নিউ জলপাইগুড়ি থানা এলাকা থেকেই গ্রেপ্তার করে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ।প্রশ্ন হচ্ছে কে এই যোগেশ রায়?কেনই বা সে এই খুনের সাথে জড়িত?পুলিশ সুত্রে জানাগেছে মৃত যুবককের স্ত্রীর সঙ্গে যোগেশ রায়ের প্রেমঘটিত একটা সম্পর্ক রয়েছে।তার জেরেই হয়তো খুন হতে হয়েছে নিতীশ রায়কে।এই খুনের ঘটনায় যোগেশ রায় ছারাও আরোও কেও জরিত কিনা তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।ধৃতকে সোমবার জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়।