শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর ৭সেপ্টেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর :-মৃত ভাইয়ের আত্মার শান্তি কামনার কথা বলে বিধবা ননদের কাছ থেকে ধাপে ধাপে প্রায় ৬লক্ষ টাকা ধাপ্পাবাজি করে নিয়ে ওই টাকা হজম করার উঠেছে তৃণমুলের এক কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে। গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৩নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমুলের কাউন্সিলার পাপড়ি কর্মকার সাহার বিরুদ্ধে এমনি অভিযোগ তুলেছেন তাঁর ভাইয়ের বিধবা স্ত্রী।চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসষ্ট্যান্ডের পিছনপাড়া এলাকায়। ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসীরা ওই কাউন্সিলারের বাড়ির সামনে বিক্ষোভে ফেটে পরেন। এমনকি কাউন্সিলারের ভাই মারা যাবার পরে বিধবা ননদ এই কাউন্সিলার তাঁকে প্রথমে টাকা পয়সা নিয়ে তাঁর স্বামীর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। গ্রামবাসীরা কাউন্সিলারের ভায়ের স্ত্রীকে তাঁর স্বামীর বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করে দেন।কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে বিধবা ননদ টাকা ফেরত না পেলে মুখ্যমন্ত্রী থেকে পৌরমন্ত্রী সহ প্রশাসনের দ্বারস্থ্য হবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। কাউন্সিলার বিষয়টি অধীকার করেছেন। এমন ঘটনায় শোরগোল জেলাজুড়ে।গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৩নম্বর ওয়ার্ডের বাসষ্ট্যান্ড পিছনপাড়া এলাকার বাড়ি ওই ওয়ার্ডের তৃণমুলের কাউন্সিলার পাপড়ি কর্মকার সাহার বাড়ি।কাউন্সিলারের বাড়ির তিনটি বাড়ি পরেই রয়েছে তাঁর বাবার বাড়ি।গত বছর ডিসেম্বর মাসের কাউন্সিলারের ভাই শ্যাম কর্মকার মারা যায়। তাঁর স্বামী পৌরসভার অস্থায়ী কর্মীর কাজ করার পাশাপাশি পিন্টু দোকানে কাজ করত।দৈনিক যে টাকা মোবাইলের জিনিশপত্র বিক্রি হত তারা ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারের মৃত ভাই পিন্টুর হাতে তুলে দিত বলে খবর। কাউন্সিলার পাপড়ি কর্মকারের ভাই যেদিন মারা যান তখন পিন্টুর মোবাইলের জিনিশপত্র বিক্রির ৫৭৫০০০ হাজার তুলে এনে তাঁর স্ত্রীর কাছে রেখে দিয়েছিল বলে খবর।পরে পিন্টুবাবু বিশ্বাসি ওই কর্মচারীর একমাত্র কন্যা সন্তানকে রেখে চলে যাবার জন্য সেই টাকার দাবি তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন বলে কাউন্সিলারের ননদ দাবি করেন।দিকে কাউন্সিলার পাপড়ি কর্মকার সাহার ভাই শ্যাম কর্মকার মারা যাবার পরে তাঁর ননদ রিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেন বলে অভিযোগ কাউন্সিলারের ননদের। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার পাপড়ি কর্মকার সাহার বিরুদ্ধে তাঁর ননদ রিয়া কর্মকারের অভিযোগ, যখনি শুনেছে যে, তাঁর ভাইয়ের টাকা আমার কাছে আছে।তখন থেকেই ধাপে ধাপে ননদ কাউন্সিলার পাপড়ি কর্মকার সাহা মৃত ভাইয়ের আত্মার শান্তি কামনার কথা বলে ৫লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয় বিভিন্ন সময়ে ধাপে ধাপে।
আর বলে যার টাকা আমি তাকে ফেরত দেব।
এমন ঘটনার কথা ওয়ার্ডে জানাজানি হতেই কয়েকশো মহিলা পুরুষ তৃণমূলের ওই কাউন্সিলার পাপড়ি কর্মকার সাহার বাড়ির সামনে রাতে কয়েক ঘন্টা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। অসহায় বিধবা মহিলার ওই টাকাটাই তাঁর শেষ সম্ভল। সেখানে এমন আন্দোলনে ওয়ার্ডের তৃণমুল নেতারা বাদ ছিল না যে এমন অসহায় বিধবার পাশে দাঁড়ায়নি।বিপদ বুঝে প্রথমে কাউন্সিলার টাকা দেবে বলে তাঁর স্কুটি চালিয়ে স্বামী স্ত্রী বাড়ি থেকে বেপাত্তা হয়ে যান বলে খবর
এবিষয়ে আরেক আত্মীয় জ্যোস্না কর্মকার কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বিধবা ননদের কাছ থেকে একজন কাউন্সিলার যে এমন কান্ড করতে পারে তার আমরা ভাবতেই পারিনা। ওই উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাই।সেই সঙ্গে টাকাটা ননদকে ফেরত দিক সেই দাবি জানাই।

যদিও তৃণমুলের ১৩নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার পাপড়ি কর্মকার সাহা সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি শুধু বলেন আমি কোন টাকা নেয়নি আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
যদিও জেলা তৃণমুলের সভাপতি মৃনাল সরকার জানিয়েছেন, এমন ঘটনা কেউ করে থাকে দলের কাছে তিনি জানালে তাহলে অবশ্যেই দল বিষয়টি দেখবে।
যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলার পাপড়ি কর্মকারের খোঁজে তাঁর প্রতিক্রিয়া নিতে পৌরসভাতে যাওয়া হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি ফলে তাঁর বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হয়নি।
এমন অভিযোগ ওঠার পরে এই কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সকলেই।
এমন ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে গঙ্গারামপুর তথা জেলাজুড়ে।