তুফানগঞ্জ মহকুমার নাটাবারি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভূচুংমারি এলাকায় রাজ আমলের ঐতিহ্যবাহী বলরাম মন্দিরে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য

0
218

কোচবিহার:- তুফানগঞ্জ মহকুমার নাটাবারি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভূচুংমারি এলাকায় রাজ আমলের ঐতিহ্যবাহী বলরাম মন্দিরে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য। ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষুদ্ধ হয়ে নাটাবারি কালজানি গামী রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। তাদের দাবি যতক্ষণ পর্যন্ত ট্রাস্ট বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাবে বলে জানান স্থানীয়রা।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ। পরবর্তী প্রায় ঘন্টাখানেক অবরোধ চলার পর পুলিশের রাজশাহী অবরোধ তুলে নেয় গ্রামবাসী।
জানাযায় রাজ আমলে নির্মীত নাটাবারি ১ GP র ভুচুংমারি এলাকার বলরাম মন্দিররে বুধবার গভীর রাতে মন্দিরের প্রণামি বাক্সের তালা ভেঙে বছর খানেক ধরে জমা প্রণামির টাকা সব নিয়ে যায় এবং মূল মন্দিরের তালা ভেঙে মন্দিরের ভিতরে ঢোকার চেস্টা করে কিন্তু সেই সময় মন্দিরের প্রহরী কমল চন্দ্র বর্মন টের পাওয়ায় পালিয়ে যায়। কমল বাবু জানান তিনি একাই থাকেন। রাত ৩ টা ১০ মিনিট নাগাদ টের পেয়ে দেখেন বাইরে আলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং তিনি টর্চ জ্বালিয়ে দেখেন ৩ দুষ্কৃতি পালিয়ে যাচ্ছে। প্রনামি বাক্সের তালা ভাঙা অবস্থায় পরে রয়েছে এবং সমস্ত টাকা নিয়ে যায় ও তালা ভেঙে মন্দিরের ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করে কিন্তু সময় মত টের না পেলে মন্দিরের বিগ্রহ চুরি হয়ে যেতো। এই ঘটনা ২০০৩ সালের পুনরাবৃত্তি বলে মনে করছেন অনেকে। কারন ২০০৩ সালেও একই ঘটনা ঘটেছিল। সেই বার টাকা ও মন্দিরের বিগ্রহ নিয়ে যায়। ঘটনায় দেবত্র ট্রাস্টের বোর্ডের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা । তাদের অভিযোগ রাজ আমলের ঐতিহ্যবাহী বলরাম মন্দির টি দেবত্র ট্রাস্টের অধীনে চললেও ট্রাস্ট বোর্ডের কর্মকর্তারা ঠিকমত মন্দীরটি রক্ষণাবেক্ষণ করেন না। মন্দিরের চার পাশ উন্মুক্ত থাকার ফলে সন্ধ্যা নামতেই দুষ্কৃতীদের আড্ডার জায়গায় পরিণত হয় মন্দীর চত্বর। এই বিষয়ে মন্দিরের প্রহরী প্রতীবাদ করে বেশ কয়েকবার তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করেন যে মন্দিরের অর্থ থেকে শুরু করে গাছ, বাঁশ বিক্রি করে টাকা নিয়ে যায় দেবত্র ট্রাস্ট অথচ মন্দিরের কোনও উন্নতি নেই।স্থানীয়দের দাবী মন্দিরের চার পাশে বাউন্ডারি ওয়ালের ব্যাবস্থা, সিসি ক্যামেরা লাগানো, পুলিশী ব্যাবস্থা করতে হবে এবং সর্ব পরি ট্রাস্ট বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসুক তা না হলে অবরোধ তুলবেন না তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here