তিন মাসের প্রকল্প দুবছরেও চালু হয়নি দক্ষিণ দিনাজপুরে! হাহাকার পানীয় জলের। ক্ষোভে ফুঁসছে কুমারগঞ্জের চাঁদগঞ্জের বাসিন্দারা।
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২৮ ফেব্রুয়ারী ——- তিন মাসের বিশুদ্ধ পানীয় জলের প্রকল্প চালু হয়নি বিগত দুবছরেও। তীব্র হাহাকার পানীয় জলের। ক্ষোভে ফুসছেন গ্রামবাসীরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের সাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদগঞ্জ এলাকার। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগে রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রায় নয় লক্ষ টাকা ব্যয়ে চাঁদগঞ্জ বাজারে একটি জল প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়। সৌরবিদ্যুৎ সিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত যে প্রকল্পটির ফিতে কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন ততৎকালীন জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায় ও পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজুদ্দিন মিঞা। তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বিশুদ্ধ পানীয় জলের সেই প্রকল্পটি এলাকায় চালুর আশ্বাস দেওয়া হলেও বিগত দুবছরেও তার বাস্তবায়ন হয়নি। এদিকে শীত শেষ হয়ে খরার মরশুম শুরু হতেই এলাকায় বিকল হয়ে পড়েছে একাধিক পানীয় জলের টিউবওয়েল। আর যার জেরেই চাঁদগঞ্জ বাজার এলাকায় শুরু হয়েছে পানীয় জলের তীব্র হাহাকার। যে ঘটনা নিয়েই কার্যত ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাদের আরো অভিযোগ, জেলা পরিষদের উদাসীনতার কারণেই এক প্রকার বাধ্য হয়ে পুকুরের জল ব্যবহার করছেন তারা। অবিলম্বে এই পরিশ্রুত পানীয় জল প্রকল্পটি চালু করা না হলে চরম দুর্ভোগে পড়বেন তারা এমনটাও জানিয়েছেন বাসিন্দারা। যদিও এই ঘটনা নিয়ে ঠিকাদারের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন জেলা পরিষদের সভাপধিপতি। তবে পঞ্চায়েত প্রধান গ্রামবাসীদের এহেন সমস্যা নিয়ে মোটেই ব্যাকুল নয়। তার দাবি, ওটা জেলাপরিষদের প্রকল্প, তাদের কিছু করার নেই।
এলাকার বাসিন্দা সমীরন পাল, প্রদীপ কুমার রায় ও ধীরেন্দ্রনাথ রায় রা বলেন, নয় লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বিশুদ্ধ পানীয় জলের প্রকল্পটি অর্ধসমাপ্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। তিন মাসের মধ্যে প্রকল্পটি চালু হবার কথা থাকলেও বিগত দু’বছর ধরে অর্ধসমাপ্ত হয়ে পড়ে রয়েছে সেটি। বারংবার পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ, সকল স্তরে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি।।
সাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মমতাজ বিবি বলেন, যেহুতু পঞ্চায়েতের কাজ নয় সেকারণে তেমন গুরুত্ব দিই নি ব্যাপারটি নিয়ে। তাছাড়াও ওই প্রকল্পের কাজটি ২০২৫ সালে হবে বলে শুনেছেন।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্তামনি বিহা বলেন, ঠিকাদারের ঢিলেমিপনার কারণেই কাজটি আটকে রয়েছে। কাজে নিযুক্ত সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কে দ্রুততার সাথে কাজটি শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।






















