তিন দিনের দার্জিলিং সফরে শিলিগুড়ি বাগডোগরা বিমানবন্দরে এসে পৌছলেন রাজ্যের রাজ্যপাল

0
272

শিলিগুড়ি:-

তিন দিনের দার্জিলিং সফরে রবিবার সকালে শিলিগুড়ি বাগডোগরা বিমানবন্দরে এসে পৌছলেন রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার।এদিন দার্জিলিং যাওয়ার আগে শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কড়া মন্তব্য করেন।সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি খুবই চিন্তা জনক।প্রজাতান্ত্র ব্যবস্থা ভেঙে।সাংবিধানিক ব্যবস্থার প্রকাশ্যে অনাদর করা হচ্ছে।এটা বরদাশ্ত করা যাবে না।রাজ্যপাল হিসেবে আমার দায়িত্ব সংবিধানকে রক্ষা করা।আমি সেই চেষ্টাই করে চলছি।মুখ্যমন্ত্রী এবং বিধানসভার অধ্যক্ষকে একাধিকবার ডেকে পাঠিয়েছি,কিন্তু তারা আলোচনার একটা বিন্দু আমার সামনে রাখতে পারেনি।বিধানসভার অধ্যক্ষ কে নিজের নিজের আসনের মর্যাদা রাখা উচিত।তিনি নিজের দায়িত্ব এবং অধিকারের বিষয়ে অনভিজ্ঞ।আইন কি বলে রাজ্যপাল যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তাকে না জানিয়ে কি উপাচার্য নিয়োগ করা যেতে পারে?দেশে কোথাও এমন আইন নেই।রাজ্যপাল কে না জানিয়ে যতগুলি নিয়োগ হয়েছে সেগুলিকে পুনর্বিবেচনা করতে হবে না হলে আমকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।আমি খুবই আশ্চর্য হলাম যখন যখন শিক্ষা মন্ত্রী আমার সাথে আলোচনা না করে মুখ্যমন্ত্রীকে তার আচার্য করবে।আপনার এক কাজ করুন মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপাল বানিয়ে দিন।তখন আপনাদের শান্তি হবে।GTA এর সমস্ত আয়-ব্যয় তদন্ত করবে CAG এ ব্যাপারে আমি আলোচনা করেছি।মুখ্য সচিব এবং অতিরিক্ত অতিরিক্ত মুখ্য সচিব ওরা দুজনেই মোমের পুতুল।ওদের সাথে আলোচনা করে কোন লাভ হয় না।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া ওদের জিভ নড়ে না।রাজ্য নির্বাচন কমিশন যা একটি সাংবিধানিক সংস্থা সেটি এখন রাজ্য সরকারের একটি অঙ্গ হয়ে গিয়েছে।সিসিটিভি বিষয়ে আমি সব রকম তথ্য চেয়েছি।আমি নিশ্চিত এই ধরনের ঘটনা আমি আগে আর হতে দেব না। যদি নির্বাচন নিরপেক্ষ ও ভয় মুক্ত না হয় তাহলে সবচেয়ে বড় কুঠারাঘাত হবে প্রজাতন্ত্র ব্যবস্থার ওপর।পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিযুক্ত করা খুবই জরুরী।কারণ কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশ রাজ্যের রাজনৈতিক কার্যকর তাদের মতো কাজ করছে।হাওড়া বিল নিয়ে রাজ্যপালের কাছে কোন চিঠি আসেনি কিংবা আলোচনা হয়নি।হাওড়া পুরসভার বিভাজন ও বালি পুরসভা নিয়ে কোনো কথাই হয়নি।যে বিল নিয়ে বলা হচ্ছে রাজ্যপাল অনুমতি দিয়েছে এই কথা একেবারে মিথ্যে।আমি হাওড়া পুরসভা বিষয়ে কিছু তথ্য চেয়েছি রাজ্য সরকারের কাছে কিন্তু রাজ্য সরকার কোনো তথ্যই দেয়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here