তপনে ভিনরাজ্য থেকে ফিরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী পরিযায়ী শ্রমিক,শোকাহত পরিবার
শীতল চক্রবর্তী,বালুরঘাট ১৩ জুলাই,দক্ষিণ দিনাজপুর।দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার অন্তর্গত ভিখাহার কাটিলডাঙ্গা গ্রামে ভিনরাজ্য থেকে বাড়ি ফিরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হলেন এক পরিযায়ী শ্রমিক।মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারসহ গোটা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম বিভূতি ভূষণ খালকে(২৯)।তিনি দীর্ঘ চার বছর ধরে ভিনরাজ্যে কাজ করতেন।গত বুধবার তিনি বাড়ি ফেরেন।পরিবারের সদস্যদের দাবি,বাড়ি ফেরার পর থেকেই তিনি চুপচাপ থাকতেন এবং পরিবারের সঙ্গে তেমন কথা বলছিলেন না।শুক্রবার তিনি পরিবারের অজান্তে বিষপান করেন। বেশ কিছুক্ষণ পর বিষয়টি পরিবারের নজরে এলে তাঁকে তড়িঘড়ি গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে রবিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।কী কারণে বিভূতি এমন চরম সিদ্ধান্ত নিলেন, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
মৃতের আত্মীয় অভিজিৎ খালকো বলেন,”ও যে এভাবে চলে যাবে,তা ভাবতেই পারছি না।”
এক প্রতিবেশী জয়দেব খালকো বলেন, “সংসারে অভাব ছিল,তাই বাইরে কাজ করতে গিয়েছিল।কিন্তু ফিরে এসে এমন কাজ করবে, তা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি।”
এই ঘটনার প্রসঙ্গে তপন ব্লকের বিডিও তীর্থঙ্কর ঘোষ জানান,”সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মৃত শ্রমিকের পরিবার যদি আবেদন করে, তাহলে তাঁরা প্রাপ্য অনুদান পাবেন,প্রশাসন সে বিষয়ে সহায়তা করবে।” গঙ্গারামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন,”কেন ওই শ্রমিক এমন কাজ করলেন পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।”
পরিবারের সদস্যরা গভীর শোকে শোকাহত এমন ঘটনায় ফের প্রশ্ন তুলে দিল ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের মানসিক চাপে থাকা জীবনের করুণ বাস্তবতার উপর।