তপনের ভিকাহারে সাহাপুকুর গ্রামে মিশনারি আদিবাসী কলেজ হোস্টেলে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী গর্ভবতী

0
202

তপনের ভিকাহারে সাহাপুকুর গ্রামে মিশনারি আদিবাসী কলেজ হোস্টেলে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী গর্ভবতী, হোস্টেল সুপারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠাল
শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট, ১৩আগস্ট।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপনের এক মিশনারি আদিবাসী কলেজ হোস্টেলে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।অভিযোগ,একই হোস্টেলের এক কিশোর ছাত্রের দ্বারা অষ্টম শ্রেণীর এক আদিবাসে ছাত্রী গর্ভবতী হয়ে পড়েছে।ঘটনায় হোস্টেল সুপার সুনীল মুর্মুকে পুলিশ তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
তপন থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,অভিযুক্ত কিশোর ছাত্রটি ঘটনার পর থেকেই পলাতক।লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তপন থানার পুলিশ হোস্টেল সুপারকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।বুধবার ধৃতকে বালুরঘাট জেলা আদালতে পেশ করা হয়।
প্রায় ২০বছর আগে তপন ব্লকের ভিকাহারের সাহাপুকুর গ্রামে মিশনারি একটি সংস্থার মাধ্যমে ওই এলাকার একটি স্কুলের পাশেই চালু করা হয় আদিবাসী ছাত্র ছাত্রীদের জন্য কয়ের্ড হোস্টেলটি।এলাকার গরিব ও পিছিয়ে পড়া আদিবাসী ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার সুবিধার্থে পৃথক ছাত্র ও ছাত্রীদের হোস্টেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে। আদিবাসী বেসেরারি সংস্থার তরফে অনেকদিন ধরে তা পরিচালিত হলেও সরকার এই হোস্টেল পরিচালনার জন্য নিয়মিত অর্থ বরাদ্দ করে থাকে বলে জানা গেছে।
গর্ভবতী হওয়া অষ্টম আদিবাসী ছাত্রীর পরিবার সূত্রে খবর,ছাত্রীটি কিছুদিন আগে ছুটিতে বাড়ি ফেরে।তখন তার শারীরিক পরিবর্তন দেখে পরিবারের লোকজনদের সন্দেহ হয়। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তার পরিবারের লোকজনদের জানায়,সে গর্ভবতী।পরে পরিবারের কাছে ছাত্রীটি জানায়,হোস্টেলের এক কিশোর ছাত্র তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে।যে ঘটনার মদত দিয়েছে হোস্টেল সুপার নিজে।পরিবারের অভিযোগ, বিষয়টি জেনেও হোস্টেল সুপার সুনীল মুর্মু কোনো পদক্ষেপ নেননি যার জন্য তাদের এত বড় সর্বনাশ হলো।
ছাত্রী ও তার মায়ের দাবি,“যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত,তাদের কড়া শাস্তি দিতে হবে প্রশাসনকে।” আদিবাসী সংগঠনের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,“এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।”
তপন থানার আইসি জনমারি ভিয়ানে লেপচা জানান, “দুজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ওই ছাত্রী পরিবারের তরফে।লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরই মিশনারি হোস্টেল সুপারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
এই ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ও ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে এলাকায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here