শীতল চক্রবর্তী, তপন ,২0মে, দক্ষিণ দিনাজপুর :——–দুদিন নিখোঁজ থাকার পর পাট খেতের মধ্যে থেকে এক তৃণমুলের বুথের সহ সভাপতির রক্তাত্ব মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল পরেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার কাদমা কাশিয়াপাড়া এলাকায়৷ পরিবারের লোকজন এই ঘটনায় দোষিদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে উচ্চতর তদন্তের দাবি করেছেন। অঞ্চল তৃণমুলের সভাপতি তাদের দলের সক্রিয় কর্মীকে বিজেপির দুষ্কৃতীকারিরা খুন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন।যদিও বিজেপির দলের কোন কর্মী এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয় বলে পাল্টা দাবি করেছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়ে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় ব্যপক শোরগোল করেছে এলাকাজুড়ে।
পুলিশ জানায় মৃত ওই তৃণমুল নেতার নাম আদেশ বর্মন(৫৫)বছর। তার বাড়ি তপন ব্লকের হজরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাদমা এলাকায়। সে কাদমা বুথের তৃণমুলের সহ সভাপতি পদে ছিলেন।গত শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে কাজ আছে বলে বের হন।এর পরে দুদিন ধরে তাঁর কোন খোঁজ পায়নি স্ত্রী সুস্মিতা বর্মন,মেয়ে মালাবিকা বর্মন সহ তাঁর পরিবারের লোকজনেরা। সোমবার সকালে পুকুরের পাশে পাট খেতের মধ্যে থেকে গন্ধ বের হয়। তখন মৃতের আত্মীয়স্বজনেরা প্রতিদেশীদের সহযোগীতায় সেখানে গিয়ে তাঁর মৃতদেহ দেখতে পান।
পুলিশি সুত্রে খবর, ওই তৃণমুল নেতার গলায় পেটে, বুকে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। পায়ের ও হাতের শিড়া কেটে দেওয়া হয়েছে তাঁর। কঠিন অত্যাচার করে তাঁকে খুন করে দেহ ওই পাট খেতের মধ্যে ফেলে রেখে পালিয়ে গিয়েছে দুস্করতীকারিরা। তবে স্থানীয় একটি জায়গায় রক্তের দাগ লেগে রয়েছে বলে পুলিশ সেখান থেকে রক্তের নমুনা সহ বেশ কিছু জিনিশপত্র উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে। সোমবার সকালে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়৷
কাদমা বুধের তৃণমুলের সভাপতি শ্যামল লাকড়া ও কাদমা বুথের তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ছোটন বর্মন অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পনা করেই আমাদের দলের সক্রিয় কর্মীকে খুন করেছে। দোষিদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।
মৃতের স্ত্রী সুস্মিতা বর্মন ও মৃতের মেয়ে মালাবিকা বর্মন অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পনা করেই খুন করে দেহ ফেলে রাখা হয়েছে। আমরা চাই যারা এমন ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের ফাঁসির সাজা হোক। আমরা উচ্চতর তদন্তের দাবি জানাই।
তৃণমুলের অঞ্চল সভাপতি মতিয়ুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ও আমদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।কোন ভাবেই এলাকায় বিজেপি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছিল না । তাই ওকে খুন করেছে। দোষিদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।
যদিও তপনের বিজেপি নেতা পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, এটা পুকুর নিয়ে গোলমালের জেরেই তৃণমুলের হাতেই তৃণমুল নেতারা খুন হচ্ছে। আর আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। এর সঙ্গে অন্য কোন ঘটনা জড়িয়ে থাকতে পারে।
ঘটনার খবর পেতেই সেখানে ছুটে আসেন অঞ্চল তৃণমুল নেতা মতিয়ুর রহমান,তপন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাজু দাস,ছাত্র নেতা মিলন রায় সহ আরো অনেকেই।
ছুটে আসেন আসেন তপন থানার আইসি গৌতম রায়,ডিএসপি প্রদীপ সরকার সহ আরো অনেকেই। তারাই মৃতদেহটি উদ্ধার করে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়ে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন,বিষয়টি তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এমন ঘটনায় মৃতের পরিবার সহ এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
Home বাংলা উত্তর বাংলা তপনের কাদমা এলাকায় তৃণমুলের বুথের সহ সভাপতির মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় খুনের অভিযোগ...