পারিবারিক অশান্তির জেরে তিন বছরের বাচ্চাকে রেল লাইনের পাশে রেখে ট্রেনে চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক গৃহবধুর। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বংশীহারী থানার অন্তর্গত শ্রীরামপুর গ্রামের পাশে রেল লাইনে।
পারিবারিক অশান্তির জেরে তিন বছরের বাচ্চাকে রেল লাইনের পাশে রেখে ট্রেনের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক গৃহবধুর। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার অন্তর্গত বুনিয়াদপুর রেল স্টেশন পার করে মালদার দিকে যাবার পথে শ্রীরামপুর গ্রামের পাশে রেল লাইনে। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ওই গৃহবধূর নাম তাজমিরা খাতুন বয়স ২৭ বছর। প্রায় ৯ বছর আগে ওই গৃহবধূর বিয়ে হয় হরিরামপুর থানার পুন্ডোরি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দক্ষিণ বাহাদুরপুর গ্রামে। গৃহবধূর বাবার বাড়ি সোমসপুর গ্রামে। বেশ কিছু দিন ধরে পারিবারিক অশান্তি চলছিল গৃহবধূর পরিবারে বলে জানা গিয়েছে। স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে সোমবার সকালে ছয় বছরের ছেলেকে শশুর বাড়িতে রেখে ও তিন বছরের ছেলেকে কোলে নিয়ে শশুর বাড়ি বেরিয়ে পড়ে ওই গৃহবধূ। বেরিয়ে শ্রীরামপুর গ্রামের পাশে রেল লাইনে ট্রেনের জন্য অধীর অপেক্ষায় বসে ছিল ওই গৃহবধূ। মালদার দিক থেকে আনুমানিক ১০ টা নাগাদ একটি মালগাড়ি বালুরঘাটের দিকে যাবার সময় মালগাড়ির নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর। দুর্ঘটনার সময় সঙ্গে থাকা ৩ বছরের ছেলেকে রেল লাইনের নিচে রেখে দেয়। স্থানীয় এক যুবক সেই দৃশ্য দেখে দৌড়ে গিয়ে বাচ্চাটিকে কোলে তুলে নিলেও ওই গৃহবধূকে বাঁচাতে পারেনি সেই যুবক। দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সেই দৃশ্য দেখতে ছুটে আসে হাজার হাজার ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। রেল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। পুরো ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারসহ ওই এলাকা জুড়ে।
এই বিষয়ে স্থানীয় এক বিশিষ্ট সমাজসেবী মাজেদার রহমান ও স্থানীয় বাসিন্দা শওকাত আলী জানিয়েছেন পারিবারিক অশান্তির জেরে ট্রেনে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় এক গৃহবধুর। তার সঙ্গে একদিন বছরের বাচ্চা ছিল। মৃত্যুর সময় সেই বাচ্চাকে রেল লাইনের নিচে ফেলে দেয়। স্থানীয় এক যুবক সেই বাচ্চাকে উদ্ধার করলেও তার মাকে বাঁচাতে পারেনি।