টাকা ফেরত দেওয়ার নামে পাওনাদার গৃহবধূকে মারধর

0
165

জমি বিক্রি সংক্রান্ত বিবাদে পাওনা টাকা ফেরত দেবে বলে গৃহবধূ পাওনাদারকে গঙ্গারামপুরে বাসস্ট্যান্ডে ডেকে নিয়ে গিয়ে একাধিক ঘটনা ঘটালেন গঙ্গারামপুরের পুরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের পিডাবলুডি পাড়া এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ দাস ওরফে বাটাল বলে অভিযোগ,থানায় দায়ের হল প্রদীপের নামে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা, অভিযোগ অস্বীকার প্রদীপের ,গা ঢাকা দিয়েছে প্রদীপ,তদন্তে পুলিশ শীতল চক্রবর্তী ২২এপ্রিল দক্ষিণ দিনাজপুর।জমি বিক্রি সংক্রান্ত বাবদের ঘটনায় পাওনা টাকা ফেরত দেবার নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে পাওনাদার গৃহবধূকে মারধর, গায়ে হাত দিয়ে খারাপ ব্যাবহার,সোনার চেন ছিনতাই করার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার বাসস্ট্যান্ড এলাকায়।পাওনাদার চুমকি মালাকার(ঘোষ)গঙ্গারামপুর পুরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের পিডাবলুডি পাড়া এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী প্রদীপ দাস ওরফে বাটালের নামে স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।অভিযোগকারীর অভিযোগ,জমি বিক্রির পাওনা টাকা ফেরত দেবে বলে ডেকে নিয়ে এসে প্রদীপ এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে তার সঙ্গে।পুলিশ প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেক সেই দাবি জানাই।যদিও অভিযুক্ত দাবি করেন তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঠিক নয়।পাল্টা তিনি অভিযোগকারীর বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেন।পুলিশ প্রদীপের নামে জামিন অযোগ্য একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।প্রদীপ দাস এই ঘটনা ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে,তাকে ধরতে পুলিশ চিরুনী তল্লাশিতে নেমেছে। গঙ্গারামপুর ব্লকের(২)১ বেলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবমন্দির এলাকার বাসিন্দা শিবনাথ মালাকারের স্ত্রী চুমকি মালাকার ঘোষের দাবি,বহু দিন আগে তাদের একটি জমি কেনাবেচা সংক্রান্ত বিষয়ে ৬লক্ষ ৫০হাজার টাকা পেত গঙ্গারামপুর পুরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের পিডাবলুড়ি বাসিন্দা প্রদীপ দাস ওরফে বাটালের কাছে। চুমকির কথায়, বহুদিন আগে জমি প্রদীপকে রেজিস্ট্রি করে দিলেও কোন টাকায় দেয়নি প্রদীপ বলে অভিযোগ চুমকির।তার আরোও অভিযোগ,সেই টাকা বহুদিন ধরে ফেরত দিচ্ছে না বলে দাবি তার।প্রদীপ ওরফে বাটাল চুমকিকে গঙ্গারামপুর বাসস্ট্যান্ডে ডেকে সেই টাকা দেবে বলে আসতে বলে। চুমকির অভিযোগ,”প্রদীপ টাকা ফেরত দেওয়া তো দূর, তাকে ডেকে নিয়ে এসে মারধর,গায়ে হাত দেওয়া , মারধর দেওয়া,সোনার গহনা ছিনতাই করে। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে প্রদীপের নামে। সূত্রে জানা গেছে, এই প্রদীপের নামে এর আগে ভূয়ো কাগজ দেখিয়ে গঙ্গারামপুরের একটি ব্যাংক থেকে ঋণ নেবার অভিযোগ উঠেছিল।যে ঘটনা প্রদীপ বিপদে পড়েই ব্যাংকের সেই ঝামেলা মেটাতে বাধ্য হয়। বেশ কিছুদিন আগে তার এক নিকট আত্মীয়র কাছেও টাকা নিয়ে আর ফেরত দেয়নি বলে অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।টাকা সংক্রান্ত ঝামেলা প্রদীপ আগেও বহু জায়গায় ঘটিয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। যদিও প্রদীপ দাস ওরফে বাটাল তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,”আমার নামে মিথ্যা কথা অভিযোগ করেছে।আমার কাছে কোন টাকায় পাবে না। আমিও চুমকির স্বামী সহ ৬ জনের নামে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।পুলিশ তদন্ত করলেই সব পরিষ্কার হবে।” গঙ্গারামপুর থানার আইসি শান্তনু মিত্র জানিয়েছেন,”লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরেই একটি মামলা দায়ের করে পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে এলাকাজুড়ে।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here