জেলা পরিষদের পুকুরে নিয়ে হরিরামপুরে স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও গ্রামবাসীদের বিবাদ, গোষ্ঠীদের টেন্ডার পাওয়া পুকুরে টাকা চাওয়ার দাবি গ্রামবাসীদের- অভিযোগ,আটক ১,তদন্তে পুলিশ
শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ৩০ এপ্রিল।জেলা পরিষদের মাছ চাষের পুকুরের দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ানো এলাকাজুড়ে।চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর থানার অন্তর্গত বৈরহাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাকাদিঘী গ্রামে।পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করার পাশাপাশি এক স্থানীয় বাসিন্দাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। স্বনির্ভর গোষ্ঠী মহিলাদের দাবি নিয়ম মেনেই তারা টেন্ডার পেয়েছেন জেলা পরিষদ থেকে। উলটে গ্রামবাসীরা টাকার দাবি করেছে গোষ্ঠীর কাছে।এলাকায় পুলিশ রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হরিরামপুর ব্লকের জেলা পরিষদের এই পুকুরটি কাকাদিঘী এলাকার অবস্থিত।যার দাগ নম্বর ৬৩০,পরিমান রয়েছে ৭৬৪ শতক।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে,২০২৩ মাছ চাষের জন্য লিজ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে পুকুরের আশপাশের নেতাজী স্বনির্ভর গোষ্ঠী মহিলাদের লিজ দেওয়া হয়েছিল,কিন্তু সেই সময়ে তারা পুকুর চাষ করতে গেলে স্থানীয় ওই পুকুরের পাশে থাকা বাসিন্দারা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সেখানে মাছ চাষ করতে বাধা দিলে তারা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিল বছর দুয়েক আগে।
উক্ত নেতাজি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা ২০২৫ সালে পুনরায় জেলা পরিষদের পুকুরে মাছ চাষ করার অনুমতি পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সেখানে মাছ চাষের জন্য পুকুরটি পরিস্কার করতে যায়। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা ওই পুকুরে নামতেই পুনরায় স্থানীয় গ্রামবাসীরা তাদের সঙ্গে ঝামেলা শুরু করে বলে অভিযোগ।গ্রামের কিছু লোকজন উক্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দলনেত্রী আক্তার সিদ্দিকার স্বামী এনামুল ইসলামকে পুকুর পার থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে এলাকা কিছু গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে।বর্তমানে তিনি গঙ্গারামপুর মহকুমার কালদিঘী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জেলা পরিষদ থেকে ওই পুকুরের লিজ পাওয়া স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দলনেত্রী আক্তার সিদ্দিকা ও এক সদস্যা শবনম সুলতানার অভিযোগ,”পুকুরের কাগজ রয়েছে তাদের নামে।কিন্তু কিছু গ্রামবাসীরা জোর করে আমাদের লিজ পাওয়া পুকুর পরিষ্কার করতে বাধা দেয়। বিষয়টি প্রশাসনে জানিয়েছি। আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি আমরা।”
এলাকার স্থানীয় গ্রামবাসী কুলি রাজবংশী অভিযোগ করে বলেন,”আমাদের দখলে ছিল এই পুকুরটি,আমরাই চাষ করব বলে তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে। ক্যামেরার সামনে তিনি স্বনির্ভর গোষ্ঠী মহিলাদের কাছ থেকে সাড়ে তিন লক্ষ গ্রামবাসীদের দিলেই সমস্যা মিটে যাবে।” হরিরামপুর থানার পুলিশ খবর পেতেই বিরাট পুলিশবাহিনী সেখানে ছুটে যায়।জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বর্তমানেও এলাকায় কিছুটা উত্তেজনা রয়েছে। হরিরামপুর ব্লকের বিডিও অত্রি চক্রবর্তী জানিয়েছেন,”বিষয়টি তিনি শুনেছেন প্রশাসনে জানিয়েছেন।” দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অতিরক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীণ ইন্দ্রজিৎ সরকার জানিয়েছেন,”পুরো বিষয়টির উপর রাখা হয়েছে।পুলিশ ঘটনার বিষয়টি নজরে রেখেছে।”। জেলা পরিষদের পুকুরে স্বনির্ভর গোষ্ঠী মহিলাদের লিজ দেওয়ার পরে গ্রামবাসীরা এত তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা কি করে দাবি করেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। তাহলে কি আবার বিগত দিনে পুকুর নিয়ে ঝামেলার জেরে আবার বড় কোন ঘটনা ওটার দিকে এগিয়ে চলছে হরিরামপুর ব্লক সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
