শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর,৩০ সেপ্টেম্বর, দক্ষিণ দিনাজপুর:-একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে জেলা তৃণমূলের মিডিয়া কনভেনার তথা জেলা কোর কমিটির সদস্যকে বিভিন্ন সংগঠনের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হল। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের শিববাড়ি তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ওয়ার্ড কমিটি, যুব, ছাত্র, মহিলা সংগঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকেও তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। কাজের মানুষকে দল এমন সম্মান জানানোয় খুশি হয়েছেন দলীয় কর্মীরাও। সম্বর্ধনা পেয়ে জয়ন্ত বাবু জানালেন, দল যে সম্মান দিয়েছে তা দায়িত্বের সঙ্গে পালন করে আগামী বিধানসভা ভোটে জেলার ৬টি আসনে দলীয় নেত্রীকে উপহার দিতে কাজ করে যাবেন বলে তিনি জানালেন।

২১ বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে শাসক দলের সর্বোচ্চ নেত্রী বিরাট পরিবর্তন এনেছেন বেশ কিছুদিন আগে। এবার তিনি জেলাস্তরে মুখপাত্র বেছে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন যে, জেলায় জেলায় তৃণমূলের যে কোনো নেতা আর সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে পারবে না। এখন থেকে দলের চেয়ারম্যান, জেলা সভাপতি,কনভেনার দের সঙ্গে কথা বলেই জেলার একমাত্র মুখপাত্র সাংবাদিকদের যেকোনো বিষয় প্রকাশ করবেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের ক্ষেত্রে পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ জয়ন্ত কুমার দাসকে মুখপাত্র হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। যা ইতিমধ্যেই জয়ন্ত বাবু কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কে এই জয়ন্ত কুমার দাস তা দেখে শুনে নিন। প্রয়াত উপেন দাসের মেজো ছেলে জয়ন্ত কুমার দাস। ডানপন্থী দল করা জয়ন্ত বাবু কংগ্রেস ঘরোনার লোক। ছাত্র রাজনীতিতে বর্ষিয়ান তৃণমূল নেতা বিপ্লব মিত্রের হাত ধরে। পরবর্তী সময়ে কংগ্রেস দলের তরফে দুবার কাউন্সিলর,ও গত পৌরসভা বোর্ডে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মোট ৩ বার কাউন্সিলার ছিলেন। বামেদের সময়ে তিনি পুরসভার বিরোধী দল নেতা হিসেবে তার ওয়ার্ডে রেকর্ড উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন বিগত দিনগুলিতে। তৃণমূল দলের তরফে বহুদিনের গঙ্গারামপুর টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন জয়ন্ত কুমার দাস। চাকুরি সূত্রে বংশীহারী হাইস্কুলে করণিকের পদে ছিলেন তিনি।

২০১৮ সালে সেই চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। বর্তমানের গঙ্গারাম্পুর কলেজে পরিচালন সমিতির সদস্য ও গঙ্গারামপুর এগ্রিকালচার মার্কেটিং কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন তিনি। সাধারন ভাবে জীবন যাপন করা জয়ন্ত বাবুর নামে কোনো রকমের অনিয়মের অভিযোগ তার রাজনীতির জীবনে কেউ তুলতে পারেনি। জেলা সাংবাদিক মহলে তার পরিচালিত ও শিক্ষিত ভাল মনের মানুষ হওয়ার জন্য সকলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে ভালোই। জেলা স্তরে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ন্ত কুমার দাসকে মুখোপাত্রের মত দায়িত্ব দিয়েছেন। সেই খবর প্রচার হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে ঘিরে অভিনন্দন এর বন্যায় ভেসেছে দলীয় নেতাকর্মী ও তার অনুগামীরা প্রিয়জনেরা।
এদিন জয়ন্ত বাবুকে গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের শিববাড়ি তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ওয়ার্ড কমিটি, যুব, ছাত্র,মহিলা সংগঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকেও তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।সেখানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড তৃণমূল নেতা লক্ষীকান্ত সরকার, আশীষ দে, সুভাষ দে যুবনেতা গৌড় সাহা, ছাত্রনেতা অর্জুন মাড্ডি, সম্রাট মন্ডল, প্রাক্তন কাউন্সিলর দিনেশ হেমরম, জাহাঙ্গীরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা রাজ্জাক আলী, অশোক রায়, সহ একাধিক তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
সম্বর্ধনা পেয়ে জয়ন্ত বাবু জানালেন, দল যে সম্মান দিয়েছে তা দায়িত্বের সঙ্গে পালন করে আগামী বিধানসভা ভোটে জেলার ছয়টি আসনে দলীয় নেত্রীকে উপহার দিতে কাজ করে যাবেন বলে তিনি জানালেন।