জলপাইগুড়িঃ- জল্পেশের শ্রাবণী মেলায় যাওয়ার পথে গাড়িতে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে গুরুতর আহত আটজন পূন্যার্থীকে নিয়ে রবিবার রাতে নিয়ে আসা হয় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে, কোচবিহারের শীতলকুচি এলাকা থেকে ২৬জনের একটি দল একটি পিক-আপ ভ্যানে করে ময়নাগুড়ির জল্পেশের শ্রাবণী মেলায় আসছিল। সেই পিকআপ ভ্যানে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটারের সাহায্যে ডিজে বাজানো হচ্ছিল। গাড়ি চ্যাংরাবান্ধা এলাকায় আসতেই ঘটে দুর্ঘটনা। আহতদের বক্তব্য অনুযায়ী, সেই উচ্চক্ষমতা সম্পন জেনারেটারের তার কোনোভাবে লিক হয়ে পুরো পিকআপ ভ্যান বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে যায়। তার জেরেই গাড়িতে থাকা বেশিরভাগ পূন্যার্থীই বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হন। ঘটনা বুঝতে পেরেই চালক গাড়ি থামিয়ে দেন। ততক্ষনে অনেক পুণ্যার্থীই লুটিয়ে পড়েছেন। গাড়ির চালক তাদের উদ্ধার করে চ্যাংরাবান্ধা হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসক দশজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি ১৪ জন আহতকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক।
আজ সকালে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা, পুলিশ সুপার দেবর্ষী দত্ত হাসপাতালে এসে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। আসেন বিধানসভার মুখ্য সচেতক তথা মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিজ্ঞা। একটি ছোট গাড়িতে এত সংখ্যক পুন্যার্থী যাওয়া, জেনারেটার সহ ডিজে ব্যবহার নিয়ে তিনি ঘটনায় পুলিশ, প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কাছে মৃত এবং আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন। তবে এদিন টনক নড়েছে পুলিশের। পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানিয়েছেন, এই বিষয়ে সব থানাকেই সতর্ক করা হয়েছে। আজ চিকিৎসাধীন আহতদের মধ্যে নয়জনকে ছুটি দেওয়া হয় হাসপাতাল থেকে।পাচজন চিকিৎসাধীন। ছয়টা নাগাদ মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস আসবেন আহতদের দেখতে। এখান থেকে তিনি শীতলকুচিতে যাবেন মৃতদের বাড়িতে।