চোষক পোকার আক্রমণে হরিরামপুর ব্লক জুড়েই আমন ধানের কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি, ক্ষতিপূরণের দাবিতে আন্দোলনে বাম কৃষক সংগঠন,পাশে থাকার আশ্বাস মন্ত্রী ও প্রশাসনের শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ দিনাজপুর: হরিরামপুর ব্লক জুড়েই চোষক পোকার উপদ্রবে নষ্ট হচ্ছে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল ধান ও ধান ও নষ্ট হয়েছে ধান গাছও।এমন ক্ষতিতে মাথায় হাত পড়েছে ব্লকের বেশিরভাগ কৃষকদের।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর ব্লক জুড়েই চলছে কৃষকদের এমন ক্ষতি বলে কৃষকেরা দাবি করেছেন। বুধবার দুপুরে কৃষকদের পাশের দাঁড়িয়ে যুগ্ম বিডিওর কাছে ডেপুটেশন দিলেন সারা ভারত কৃষক সভার বামেদের কৃষক সংগঠনের তরফে।ডেপুটেশন পেয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন আধিকারিকেরাও।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুরের বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়েই ব্লকের কৃষকেরা কৃষি কাজে চাষাবাদ করেই তাদের সংসার পরিচালনা করে থাকেন। হরিরামপুর ব্লক কৃষি দপ্তর সূত্রের খবর,অন্যান্য বারের মতো এবছরও হরিরামপুরের ব্লকের কৃষকেরা আমন ধান লাগিয়েছিলেন।কৃষিভিত্তিক এলাকা হবার কারণে হরিরামপুর ব্লকের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত জুড়েই জুলাই আগস্ট মাসে প্রায় ব্লকের এক লক্ষাধিক কৃষক ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান জমিতে লাগিয়েছিলেন। ফসল তোলার সময় রয়েছে অক্টোবর শেষের দিকে থেকে শুরু করে নভেম্বর মাস পর্যন্ত। ব্লকের যে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি রয়েছে তার বেশিরভাগ গ্রাম পঞ্চায়েতের জমির আমন ধান কৃষকদের নষ্ট হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ব্লকের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা দাবি করেছেন,আমন ধান কাটতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, গাছ হলুদ হয়ে গিয়েছে।ধান আছে কিন্তু তার মধ্যে চাল নেই।ধান গাছও হলুদ হয়ে জমিতে লুটিয়ে পড়েছে।বিরাট ক্ষতি হলো তাদের। হরিরামপুরের ব্লকের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আমজাদ আলী, আব্দুল হাকিম, কৃষক রহিমুল ইসলামেরা অভিযোগ করে বলেন,”চোষক পোকার কারণে ধানে চাল নেই, শুধু পাতান রয়েছে।সময়ে ধানে কীটনাশকও প্রয়োগ করেছিলাম তা সত্ত্বেও কেন এমন ঘটনা হলো তা বুঝে উঠতে পারছি না।বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়লাম আমরা। সরকার পাশে না দাঁড়ালে পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। কৃষকের এমন সমস্যার সমাধানে পাশে দাঁড়িয়ে বুধবার ব্লক কৃষি দপ্তরের আধিকারিক অফিসে না থাকায় সারা ভারত কৃষক সভার হরিরামপুর থানার কমিটির উদ্যোগে হরিরামপুর বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক রফিকুল ইসলাম,সিপিআইএম নেতা রহিমুল ইসলাম,ডিওয়াইফের নেতা জিয়াউর রহমান সহ আরো অনেকেই বিডিও অফিসে ডেপুটেশন জমা দেন।তারা হরিরামপুর ব্লকের যুগ্ম বিডিও কাছে ডেপুটেশন দিয়ে কৃষকদের পাশে থাকার কথার আবেদন করেন তারা। এবিষয়ে সিপিআইএমের হরিরামপুর বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএমের কৃষক নেতা রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন,”কৃষকদের অবস্থা দেখেই আন্দোলনে নামা হয়েছে।যদি কিছু কৃষকেরা এই ক্ষতিপূরণ না প্রায় তাহলে বড়সড়ো আন্দোলন হবে।”
হরিরামপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বিষয়টি জানার পরেই প্রশাসনকে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন,”কৃষকদের পাশে সরকার রয়েছে।” হরিরামপুর ব্লকের জয়েন্ট বিডিও রাজিবুর শেখ বলেন,”খোঁজ নিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”। হরিরামপুর ব্লকের কৃষি দপ্তরের আধিকারিক অমলেন্দু ঘোষকে কেন কৃষকদের এমন ক্ষতি হলো এবিষয়ে জানতে একাধিকবার তার মোবাইল ফোনে ফোন করা হলেও তিনি তার ফোন ধরেননি।






















