চিকিৎসার গাফিলতিতে আদিবাসী এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে ধুমধুমার কান্ড গঙ্গারামপুরের কালদিঘী মহকুমা হাসপাতালে,হল পথ অবরোধও, শোরগোল এলাকাজুড়ে
গঙ্গারামপুর ২৮মে দক্ষিণ দিনাজপুরঃ-চিকিৎসার গাফিলতিতে আদিবাসী এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ভাংচুর, বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি দির্ঘ সময় ধরে পথ অবরোধে নামল মৃতের আত্নীয় পরিজনদের পাশাপাশি ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসীরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার কালদিঘী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।মৃতের আত্মীয় পরিজনদের পাশাপাশি ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসীরা হাসপাতালের সামনে অভিযুক্ত চিকিৎসকের কঠোর শাস্তির দাবিতে বালুরঘাট ভায়া মালদা ৫১২নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখে।ঘটনাস্থলে এসে পৌচ্ছায় বিরাট পুলিশ বাহিনী। জেলা মুখ্যস্বাস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন,ঘটনাটি দুঃখজনক।লিখিত অভিযোগ করেছে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।পরে পুলিশ ও আদিবাসী নেতার আশ্বাসে প্রায় ২ ঘন্টা পরে অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলনকারীরা। ঘটনায় ব্যপক শোরগোল পরে। গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতাল সুত্রে যানা গিয়েছে,শনিবার সকালে গঙ্গারামপুর থানার ফুলবাড়ী ধোপাদিঘী এলাকার বাসিন্দা পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক আদিবাসী নির্মল এক্কার স্ত্রী শ্যামলী ওরাও(২৭)বছর হাসপাতালে ভর্তি হয়।তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে পরিযায়ী শ্রমিক নির্মল এক্কার সংসার। সংসারে অভাব অনাটন থাকায় ছেলে ও মেয়ে তাঁর স্ত্রীকে রেখে বহুদিন ধরেন বিদেশে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে যান বলে তাঁর পরিবার সুত্রে যানা গিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, শনিবার দুপুরে শ্যামলী ওরাও এর পরিবারের লোকজনদের কিছু না জানিয়েই তাঁর এলাকার এক আশাকর্মী তাঁকে গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন চিকিৎসককে দিয়ে বন্ধত্বকরনের জন্য।মৃতের পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ,শনিবার রাতেই স্ত্রী ও প্রসুতি রোগ বিভাগের চিকিৎসককে দিয়ে শ্যামলী ওরাও বন্ধত্বকরন করানো হয়।বন্ধত্বকরন করানোর কিছুক্ষন পরে শ্যামলী ওরাও ভালো থাকলেও রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ,চিকিৎসক আমাদের কাউকে সেকথা বলেনি আমাদের রোগীর মৃত্যু হয়েছে।রবিবার সকালে হাসপাতাল থেকে বলা জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের আত্মীয় শ্যামলী ওরাও বন্ধত্বকরনের পরে মৃত্যু হয়েছে। এই খবর পাওয়া মাত্রই মৃত্যুর আত্মীয় স্বজনেরা চরম ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। যেখানে মৃত শ্যামলী ওরাও ভর্তি ছিলেন তারা মহকুমা হাসপাতালের সামনে এসডিইউ রুমের সামনের দরজায় ভাংচুর করে।এমনকি এসডিইউ রুমের ভিতরে ঢুকে রুমের মধ্যে ভাংচুর করার চেষ্টা করলে তাঁদের সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।ফলে তাঁরা এসডিইউ রুমের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পরে কয়েকশো ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে দোষি চিকিৎসকদের শাস্তির দাবিতে। পরে তাঁরা গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালের সামনে ৫১২নম্বর বালুরঘাট ভায়া মালদা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে দির্ঘ সময় ধরে দোষি চিকিৎকের শাস্তির দাবি জানান। এমন অবরোধের ফলে ব্যপক যানজোটের সৃস্টি হয়। সেখানে বিরাট পুলিশ বাহিনী ছুটে আসে।
এবিষয়ে মৃতের আত্মীয় সুমতি এক্কা ও খুকুমনি ওরাও অভিযোগ করে বলেন ,চিকিৎসার গাফিলতির কারনেই এমন ঘটনা। আমরা চাই দোষি চিকিৎসকের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই। সেই কারনেই আন্দোলনে নামা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
মৃতের এলাকাবাসী যোসেফ কেরকাট্টা,অনিমেষ সরকার,সহেল মন্ডলেরা অভিযোগ করে বলেন, এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। তাই আন্দোলনে সামিল হয়েছি। দোষির কঠোর সাজা হোক সেই দাবি জানাই।
ভারত যাকাত মাঝি পরগনা মহলের জেলা সভাপতি অরুন কুমার হাঁসদা জানিয়েছে, আদিবাসীদের সঙ্গে এমন ঘটনা শুনেই এখানে আসা হয়েছে। আমরা দাবি জানিয়েছি এই পরিবারের দুটি সন্তানের ভরন পোষনের দায়িত্ব যে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তাঁকেই নিতে হবে। না হলে আরো বড় আন্দোলন হবে।
গঙ্গারামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপায়ন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন,একটা ঘটনা ঘটেছে, বিষয়টি জেনেই এখানে আসা হয়েছে। অবরোধ উঠে গেছে। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পেয়েছি। তদন্ত করে
জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস জানিয়েছেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। লিখিত অভিযোগ করেছে বলে শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরে পুলিশ ও আদিবাসী নেতার আশ্বাসে প্রায় ২ ঘন্টা পরে অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলনকারীরা। ঘটনায় ব্যপক শোরগোল পরে সেখানে।