চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা,গঙ্গারামপুর থেকে নগদ ২০লক্ষ টাকা-সহ গ্রেপ্তার এক তরুণ

0
50

চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা,গঙ্গারামপুর থেকে নগদ ২০লক্ষ টাকা-সহ গ্রেপ্তার এক তরুণ, কটাক্ষ বিরোধীদের, পাল্টা জবাব তৃণমূলের
শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট, ২৭নভেম্বর:চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার অভিযোগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার  গঙ্গারামপুরের যাদববাটি কারগিল মোড় এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হলেন সুভাষ বিশ্বাস (৪০)। ধৃতের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ২০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ অর্থ, একটি ল্যাপটপ, তিনটি মোবাইল ফোন এবং বেশ কিছু নথি।
আগামী রবিবার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কনস্টেবল পদের পরীক্ষা থাকায় এই গ্রেপ্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিরোধী বিজেপি , কংগ্রেস , সিপিএম শাসক তৃণমূলকে কটাক্ষ করলে তার পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও।
২গত দিন আগেই গ্রেপ্তার হয়েছিল সিভিক ভলেন্টিয়ার–দম্পতি
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৫ নভেম্বর (মঙ্গলবার) চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে সিভিক ভলেন্টিয়ার নারায়ণ ভট্টাচার্য ও তার স্ত্রী পার্বতী রায়কে। অভিযোগ ছিল—টাকার বিনিময়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কনস্টেবল পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হতো পরীক্ষার্থীদের।
এই মামলার তদন্ত চলাকালীনই উঠে আসে তৃতীয় ব্যক্তি সুভাষ বিশ্বাসের নাম। এরপর বৃহস্পতিবার গঙ্গারামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকার দীপাঞ্জন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী সুভাষের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল জানান”মঙ্গলবার আমরা একটি কেসে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছিলাম। কনস্টেবল পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে তারা বেশ কয়েকজন প্রার্থীর কাছ থেকে ডকুমেন্ট নিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে। সেই মামলা তদন্ত করতে গিয়েই আজ সুভাষ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ, ল্যাপটপ, মোবাইল এবং বেশ কিছু ডকুমেন্ট বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এগুলির সঙ্গে পরীক্ষার সরাসরি যোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিরোধী দল বিজেপি তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে।             বিজেপির  জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন,”তৃণমূল কংগ্রেস তো চাকরি বিক্রি করেই খায়। মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, তৃণমূল তেমন দুর্নীতি ছাড়া থাকতে পারে না।”      জেলা কংগ্রেস নেতা নন্দন দাস বলেন,”তৃণমূল দুর্নীতি ছাড়া কোন নিয়োগেই থাকতে পারে না। তাই এমন কাণ্ড একের পর এক ঘটেই চলেছে।”    সিপিএমের জেলা সম্পাদক নন্দলাল হাজরা বলেন,”তৃণমূল দলটাই দুর্নীতিতে যুক্ত। বেকারদের  জীবন নিয়ে ছিনিবিলি খেলছে তারা। যোগ্য সময় মানুষ তার জবাব দেবে।”         জেলা  তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন”বিরোধী নেতারা কীভাবে বুঝলেন যে গ্রেপ্তার হওয়া সিভিক ভলেন্টিয়ার তৃণমূলের নেতা? অপরাধীর কোনও দল হয় না। অভিযোগ আসতেই পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে—এটাই প্রমাণ করে পশ্চিমবঙ্গে আইন নিজের গতিতে চলে যা অন্য কোথাও নেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here