চল্লিশ হাজারের টার্গেট! বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে রবিবাসরীয় ছুটির দিনে কুমারগঞ্জে জমজমাট প্রচার বিপ্লব মিত্রের

0
275

চল্লিশ হাজারের টার্গেট! বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে রবিবাসরীয় ছুটির দিনে কুমারগঞ্জে জমজমাট প্রচার বিপ্লব মিত্রের।

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২৪ মার্চ ———— ৪০ হাজারের লক্ষ্যমাত্রা! বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে রবিবাসরীয় ছুটির দিনে কুমারগঞ্জে জোর ভোট প্রচার তৃণমূল প্রার্থীর। উচ্ছ্বাস দলীয় নেতাকর্মীদের। রবিবার সকাল সকাল মন্দিরে পুজো দিয়ে কুমারগঞ্জের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে একের পর এক সভা করে দাপিয়ে বেড়ান তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। যেখান থেকে জেলার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের দিশা নিয়ে বুনিয়াদপুরের ওয়াগন ফ্যাক্টরী চালু না হওয়া নিয়ে যেমন একদিকে সুকান্ত কে বিঁধেছেন, তেমনি অন্যদিকে কর্মীদের উপর ভোটের ব্যবধানের লক্ষ্যমাত্রাও বাড়িয়েছেন। আর যা নিয়ে প্রার্থী বিপ্লব মিত্রকে কে ঘিরে যথেষ্টই উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে তৃণমূল নেতা কর্মীদের মধ্যে। প্রসঙ্গত, বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত সাতটি বিধানসভার মধ্যে কুমারগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রটি ঘাসফুলের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি হিসেবেই চিহ্নিত। যেখান থেকে শুধুমাত্র বিধানসভা নির্বাচনই নয়, লোকসভা নির্বাচনেও তৃণমূল বিরোধীদের যথেষ্টই বেগ পেতে হয়। যার কারন হিসাবে অনেকেই মনে করেন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার একচেটিয়া ভোট ব্যাঙ্ক। ২০১৯ সালে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রটিতে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার জয়লাভ করলেও তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ কুমারগঞ্জ বিধানসভায় ১৮ হাজার ৭৫৯ ভোটে এগিয়ে ছিলেন। এরপর ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে ওই কেন্দ্রে কার্যত ধরাশায়ী হয়েছিল বিজেপি। প্রায় ৩০ হাজার ভোটের ব্যবধানে তৃণমূল প্রার্থী তোরাব হোসেন মন্ডল হারিয়ে দিয়েছিলেন সেখানকার বিজেপি প্রার্থীকে। যে নির্বাচনের পরেই কুমারগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির এক কঙ্কালসার সাংগঠনিক চেহারা সামনে এসেছিল। বিজেপির সেই সাংগঠনিক দুর্বলতাকে হাতিয়ার করেই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার ভোটব্যাঙ্ককে পকেটে পুরতে লোকসভা নির্বাচনের আগে মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল প্রার্থী। এদিন সে হিসাবেই এলাকায় ভোট প্রচারে গিয়ে নেতা কর্মীদের ভোটের ব্যবধানের সংখ্যা বেঁধে দিয়েছেন বিপ্লব মিত্র।

তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র বলেন, কুমারগঞ্জে তৃণমূল সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধান রাখতে সক্ষম হবে। যা বিগত নির্বাচনগুলিকে ছাপিয়ে যাবে। চল্লিশ হাজারের লক্ষ্যমাত্রা বেধে দেওয়া হয়েছে নেতা কর্মীদের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here