শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর 5 আগস্ট দক্ষিণ দিনাজপুর:-অঙ্গনাওয়াডি কেন্দ্রে পোকা ধরা ডাল, আলু সহ চাল বিলির অভিযোগকে কেন্দ্র করে সেন্টারের কর্মীদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার বাসিন্দারা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বেলা দশটা নাগাদ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পৌরসভার 15 নম্বর ওয়ার্ডের শিববাড়ি মাস্টারপাড়া এলাকার 87 নম্বর সেন্টারে। সেন্টার থেকে খাবার পাওয়া শিশুদের মা ও বাবাদের অভিযোগ, এই সেন্টারের কর্মী ও সহায়িকা বহুদিন ধরেই এমন কাণ্ড করে যাচ্ছেন। এই সেন্টার থেকে পাওয়া পোকা ধরা ডাল,আলু, চাল শিশুদের খেলে মৃত্যু অনিবার্য। সেন্টারের কর্মী ও সহায়িকার কঠোর শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামা হয়েছে। যদিও তারা আইসিডিএস দপ্তর থেকে যা পান তাই বিলি করেন বলে সাফাই দিয়ে নিজের পিঠ বাঁচাতে চেয়েছেন দায়িত্ব থাকা কর্মী। ব্লকের সিডিপিও বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এমন ঘটনায় শিববাড়ি মাস্টারপাড়া এলাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

কোভিড পরিস্থতির মধ্যে রাজ্যে সরকারের তরফে বিভিন্ন অঙ্গনাওয়াড়ী সেন্টার গুলিতে রান্না করা খাবার দেবার পরিবর্তে মা ও শিশুদের অভিভাবকদের জিনিশপত্র বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবার নির্দেশ দেওয়া হয়। সরকারের তরফে সিধান্ত নেওয়া হয় যে এই সেন্টার গুলি থেকেই শিশুদের জন্য পুষ্টিকর ভালোমানের, চাল, ডাল, আলু থেকে শুরু করে স্যানিটাইজার দেবার নির্দেশ দেওয়া হয়।গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৫নম্বর ওয়ার্ডের শিববাড়ি মাষ্টারপাড়ার ৮৭নম্বর অঙ্গনাওয়াড়ী সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই।শিববাড়ি মাষ্টারপাড়া এলাকার আলো গোস্বামীর বাড়িতে ভাড়া হিসেবে ৮৭ নম্বর সেন্টারটি বহুদিন ধরেই চলছে।এই আলো গোস্বামীর স্ত্রী গোস্বামী রয়েছেন বহু দিন ধরেই তাঁর বাড়িতে থাকা সেন্টারের সহায়িকা হিসেবে কাজ করেন।

অভিযোগ শিবানি চক্রবর্তী যখন সেই সেন্টারের কর্মী ছিলেন তখনও সেন্টার থেকে পরিষেবা মা ও শিশুর অভিভাবকেরা বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ করতেন শিবানি চক্রবর্তী সহ সহায়িকা গোস্বামীর নামে তা সত্বেও এই সেন্টারের কর্মী ও সহায়িকা মিলে বিভিন্ন ধরনের জিনিশপত্র নয়ছয় করে সরকারের ওয়া জিনিশপত্র তারা গোপনে রেখে দিতেন বলে অভিযোগ। অনেকে আবার অভিযোগ করেন সেন্টারের সহায়িকার চেয়ে তাঁর স্বামী আলো গোস্বামী অভিভাবকদের সঙ্গে সেন্টারের পাওয়া জিনিশপত্র নিতে গেলেই খারাপ ব্যবহার করতেন তিনি।নিলে নেন না হলে বের হন বলেই তাঁরা অভিযোগ বৃহস্পতিবার ছিল গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্জের শিববাড়ি মাষ্টারপাড়ার ৮৭নম্বর অসনাওয়াত্রী সেন্টারে মও শিশুদের খাবারের জিনিশপর বিলির দিনা অভিভাবকদের অভিযোগ৮৭সেন্টারের কর্মী ও সহায়িকা মিলে ভালো জিনিশ রেখে দিয়ে পচা ভাল প্যেবসাবা চালপেচা আলু বা এই সমস্ত জিনিশপত্র কেউ মুখে তুলতেই পারবেনা সেই সমস্ত জিনিশ বিলি করেন৷এই পরেই সেন্টারের কর্মী ও সহায়িকাকে ঘেরোয়া করে দুঘন্টা ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে এলাকার অভিভাবক বা যুদ্ধ বাসিন্দারা। তারা একবাদ জানিয়ে বলেন আপনাদের এই সমস্ত জিনিশ রান্না করে খাওয়াব।তখন দেখুন কেমন লাগে দেতে।

সেপ্টার থেকে পরিষেবা পাওয়া অভিভাবক রুপা দে চক্রবর্তী, অসীম সরকার সুখীতা হেমরম অধিকারীরা) অভিযোগ করে বলেন এমন জিনিশ শিশুদের খাওয়ালে বাচ্চা মারা যেতে পারে তাঁর দায় কে নেবে। তাছাড়া সেন্টারের কর্ম ও সহায়িকারা খারাপ জিনিশ দিলে অফিস থেকে থেকে কেনা সরকারতো ভালো জিনিশ ও শিশুদের বিলি করতে বলেছে। আসলে সেন্টারের কর্মী ও সহায়িকা ভালো জিনিশগুলো নিজেরা রোদে দিয়ে বাজার থেকে জিনিশ কম দামে কিনে এনে বিলি করছে। সেই জন্যে এমন আন্দোলনে নামা হয়েছে। প্রয়োজন বিভিন্ন জায়গায় লিখিত জানাবো।

স্টোরের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত বর্মী চন্দ্রা সা অধিকারী চৌধুরী দাবি করেন বলেন, যারা নিজেদের ইচ্ছেমত ডাল নিতে চাইছে তাঁদের দেওয়া হচ্ছে।জোর করে খারাপ জিনিশ দেওয়া হচ্ছে না।তিনি এমন দাবি করাতেই এলাকাবাসী ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁর মুখ বন্ধ করে দেন চিৎকার করে। তবে তিনি বিষয়টি অফিসে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।

গঙ্গারামপুর ব্লকের সিডিপিও রতন বর্মন জানিয়েছেন বিষয়টি আপনাদের কাছেই। খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।

কেন বারবার করে এই সেন্টারের কর্মী ও সহায়িকার বিরুদ্ধে মা ও শিশুদের খবর বিলি নিয়ে ছিনিবিনি করা হচ্ছে তার পরেও কেন স্টোরের কর্মী ও সহায়িকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে অনেক।
এমন ঘটনায় সরকার পড়েছে এলাকাজুড়ে।