– আগামী রবিবার থেকেই ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব পড়বে মালদা সহ গোটা উত্তরবঙ্গে। তার আগেই তড়িঘড়ি আম পেরে নিচ্ছেন চাষিরা। মালদায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়বে এই ঝড়। আবহাওয়া দপ্তরের এমন পূর্বাভাসে দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়ে গেছে মালদার আম চাষীদের। এবছর এমনিতেই আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা এবং প্রচন্ড দাবদহের কারণে ফলন কম হয়েছে আমের। তার উপরে গোদের ওপর বিষফোঁড়া এই ঘূর্ণিঝড়। ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে আমের। তাই আম পরিপক্ক হওয়ার আগেই আমপাড়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে মালদার বাগান গুলিতে।
আম ব্যবসায়ী এবং চাষিরা জানান, ঘূর্ণিঝড় হলে আমের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। গোপাল ভোগ ছাড়া বাকি বিভিন্ন প্রজাতির আম লক্ষণভোগ, ন্যাংড়া সহ বিভিন্ন প্রজাতির আম পরিপক্ক হতে এখনো প্রায় এক মাস। কিন্তু কিছু করার নেই। ঝড়ে গাছ থেকে আম নিচে পড়ে গেলে সেই আম আর বিক্রি করা মুশকিল। তাই ঝড় শুরু হওয়ার আগেই আম পাড়তে তারা শুরু করেছেন।
– তবে প্রশ্ন উঠছে বাজারে এই আম এলে খেতে পারবেন তো খাদ্যপ্রিয় বাঙালিরা। এই বিষয়ে মালদা ম্যাংগো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা জানান, এবছর এমনিতেই আম হয়নি। ৫০ শতাংশ আম রয়েছে গাছগুলিতে। অর্থনৈতিকভাবে আমাদের জেলা ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কে অপরিপক্ক আম ভাঙতে শুরু করেছেন চাষিরা। এই অপরিপক্ক আম ভাঙলে আমের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যাবে। মানুষ এই আম খেতে পারবেন না। মালদার আমের যে জগত বিখ্যাত সুনাম তা নষ্ট হবে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আমের কিছুটা হলেও ক্ষতি হবে আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেননি মালদা জেলার আবহাওয়াবিদ তপন কুমার দাস।