নিজস্ব সংবাদ দাতা,মালদা:২৫ জুন
দিনের আলোতেও গ্রামের নাবলিকা,কিশোরী ও বধূরা বাড়ি থেকে বের হতে ভয় পায়।গ্রামের এককোণে চলছে মাদক জাতীয় দ্রব্যের রমরমা বিক্রি।নেশায় বুদ হয়ে সেখানে ছুটে যাচ্ছে বহু গ্রামের কিশোর থেকে শূরু করে যুবকেরা।
পুলিশকে বহুবার জানিয়েও সুরাহা মিলেনি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
পুলিশের উদীসিনতার অভিযোগ তুলে ও মাদকজাতীয় দ্রব্য বিক্রি বন্ধের দাবিতে সোচ্চার হলেন গ্রামবাসীরা।শুক্রবার মালদহের চাঁচল-আশাপূর রাজ্য সড়কের শহরবাগে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।ঘন্টা খানেক ধরে চলে তুমুল বিক্ষোভ।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ প্রায় বছর দূয়েক ধরে চাঁচলের রামনগর গ্রামে চলছে মাদকের রমরমা কারবার।
রামনগর গ্রামের হামেদ আলী,কুরবান আলীরা এই কারবারের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে যূক্ত।তারাই অল্প বয়সী কিশোর এবং যুবকদের হাতে তূলে দিচ্ছে এই নেশা জাতীয় মাদক দ্রব্য।যার ফলে নেশায় বুদ হয়ে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ।
ড্রাগস আসক্তদের রাস্তায় দেখে আতঙ্কে থাকছে গ্রামের কিশোরী ও বধূরা।নেশায় আসক্ত হয়ে গ্রামের মানুষের মূল্যবান সামগ্রী চুরি করছে।বহুবার পুলিশ এবং প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।এই ঘটনায় পুলিশ মাঝে মধ্যে গ্রাম অভিযান চালিয়ে কারবারিদের পুলিশের জালে আসলেও নিয়ে গিয়ে ঘন্টা খানের মধ্যে ছেড়ে দেয় বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ।পুলিশের উদীসিনতার কারনেই গ্রামে চলছে মাদক দ্রব্য জাতীয় দ্রব্যের রমরমা কারবার।
গ্রামবাসীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে শুক্রবার দূপুরে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।অবরুদ্ধ হয় রাজ্য সড়ক।
গ্রামের সচেতন বাসিন্দা মোজাম্মেল হক জানান,প্রশাসনের নাকের ডোগায় চলছে মাদক দ্রব্যের রমরমা কারবার।কিন্তু পুলিশের তাতে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই!নেশায় আসক্ত হয়ে প্রাণহানি ঘটছে বহু কিশোর এবং যুবকের।তাই পুলিশ এবং প্রশাসনের উপর ভরসা হারিয়ে আমরা নিজেরাই এই কারবার বন্ধে প্রতিবাদে নেমে পড়েছি।
গ্রামের বধূ শেরিনা বিবি অভিযোগ করে বলেন,রামনগরের হামেদ ও কুরবান আলীর পরিবার মাদক দ্রব্য জাতীয় দ্রব্য বিক্রি করছে।আসক্তদের জন্য আমরা মেয়েরা ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারিনা।
আমরা মেয়েরা নিরপত্তাহীনতায় ভূগছি।
পুলিশকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়না।পুলিশ আসে আর মাদকে আসক্ত দের ধরে নিয়ে যায় আবার জামাই আদর করে ছেড়ে দেয়।তাই পুলিশের উপর আস্থা হারিয়ে আমরা চাঁচল-আশাপূর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছি।তাদের দাবি অবিলম্বে এই কারবারি বন্ধ করতে হবে।
এদিন দূজন খদ্দেরকে হাতে নাতে ধরে ফেলে গ্রামবাসীরা।তাদের কাছে কিছু পরিমাণ মাদক দ্রব্য পাওয়া গেছে।
গ্রামবাসিদের খপ্পরে পড়া গালিমপুরের এক খদ্দের সাদ্দাম সেখ বলেন,আমি ভূডভুটি চালায়।রোজ প্রায় তিনশো টাকা উপার্জন হয়।সপ্তাহ খানেক ধরে এখান থেকে মাদক নিয়ে যায়।রোজ দেড়শো টাকার মাদক নিয়ে যায় বলে তিনি বলেছেন।গ্রামবাসীদের খপ্পরে পড়ে বিদ্যানন্দপুরের এক যুবক জাহাঙ্গীর আলম সম্প্রীতি ভিন রাজ্য থেকে গ্রামে ফিরেছে।রামনগরের বিক্রি হয় তাই তিনি এখান থেকে কিনে খায়।পুলিশ সূত্রে জানা যায়,দুই মাদকজাতীয় কারবারী ও দুজন আসক্তকে আটক করা হয়েছে।
পাশাপাশি চাঁচলের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভেন্দু মন্ডলকে ধরা হলে তিনি জানান,পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনে।যারা এর যুক্ত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।