চাঁচল; ০৮অগাষ্ট: গত কয়েক বছর ধরে কবি গুরু রবিঠাকুরের জন্ম জয়ন্তী হোক বা প্রায়ন দিবসে স্মরণ করা হতো না ঠাকুরকে। গলায় জুটতো না একটি ফুলের মালা। যায় খবর বারংবার শিরোনামে প্রকাশিত হত। ক্ষোভে ফুঁসতে দেখা গিয়েছিল শহরের বাসিন্দা থেকে শুরু করে সাহিত্য ও সংস্কৃতি মহলেও। কিন্তু এবারে তার উল্টো চিত্র ধরা দিলো চাঁচলের রবীন্দ্র ভবনে। একাকার বিধায়কের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদায় কবি গুরুর প্রয়াণ দিবস পালিত হলো।

আজ ২২শে শ্রাবণ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস। আর এই বয়ান দিবসে এদিন চাঁচল রবীন্দ্রভবনে রবি ঠাকুরের আবক্ষ মূর্তি তে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে দিন থেকে শ্রদ্ধা জানান চাঁচলের বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষ। পাশাপশি এদিন ওই শ্রদ্ধা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চাঁচল মহকুমা শাসক কল্লোল রায়। তবে জরাজীর্ণ চাঁচলের রবীন্দ্র ভবন পুনর্নির্মাণ এর জন্য ভবনের মূল ফটক এতদিন তালা ঝুলছিলো। যায় ফলে ভবনের মূল ফটকের পরেই রয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবক্ষ মূর্তি। ফটকে তালা ঝোলার ফলে ওই তালা কয়েক বছর ধরে খোলাও হয়নি আর ঠাকুরের গলায় একটি মালাও পড়েনি। কিন্তু এবছর চাঁচলের বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষ নিজ উদ্যোগে ভবনের তালা খুলে মহকুমা শাসক কল্লোল রায় কে সাথে নিয়ে কবি গুরুর প্রয়াণ দিবস পালন করেন।
তবে এদিন ভবন সংস্কার নিয়ে মহকুমা শাসক ও বিধায়ক দুই জনান, খুব শীঘ্রই চাঁচলের এই ভবনটি এক নতুন রূপে চাঁচলবাসীকে উপহার দেওয়া হবে।