গঙ্গারামপুর হাইস্কুলের ছাত্র অঙ্কিত মাধ্যমিকের ৬৮৯নম্বর পেয়ে সম্ভাব্য সপ্তম স্থান অধিকার করেছে,ভবিষ্যতে অঙ্কন -বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে সে,সাধুবাদ জানালেন সকলেই। শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ২ মে দক্ষিণ দিনাজপুর:-মাধ্যমিকে রাজ্যে সম্ভাব্য সপ্তমস্থান অধিকার করে জেলার মুখ উজ্জ্বল করলো দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্র অঙ্কন বসাক।মাধ্যমিকে এবার তার প্রাপ্য নম্বর ৬৮৯।অঙ্কনের এমন সাফল্যে খুশি পরিবারের লোকজনদের পাশাপাশি স্কুল থেকে শুরু করে পুরসভার চেয়ারম্যান সহ শহরবাসীও। ভবিষ্যতে অঙ্কন বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন বলে তার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন।
গঙ্গারামপুর শহরের সুভাষপল্লী এলাকার বাসিন্দা দেবিকা জোয়াদ্দারের একমাত্র ছেলে অঙ্কন।অঙ্কনের বাবা বহু বছর আগে মারা গিয়েছেন। গঙ্গারামপুর পুরসভার সুভাষপল্লী এলাকার বাসিন্দা অঙ্কন ও তার মা অঙ্কনের মামার বাড়িতে থাকেন।সেখানেই তার পড়াশোনা চলছিল বলে জানা গেছে।
অঙ্কনের পরিবার সূত্রের খবর, সারাদিনে সে ৬/৬ ঘন্টা পড়াশোনা করত। পড়াশোনার পাশাপাশি শরীরচর্চা ও নিজেকে আত্মনির্ভর করার জন্য ক্যারেটে শিখত সে।শুক্রবার মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর সংবাদ মাধ্যমে ও তার বন্ধু-বান্ধবও প্রিয়জনদের কাছ থেকে টেলিফোনে সে জানতে পারে রাজ্যে সপ্তম স্থান অধিকার করেছে সে।তার প্রাপ্য নম্বর ৬৮৯।যার পর আনন্দে মেতে ওঠেন সকলেই।তার সাফল্যে এমন খবরে মা,মামা, মামী সহ প্রতিবেশীরা বাড়িতে এসে তাকে মিষ্টিমুখ করিয়া শুভেচ্ছা জানান। মাধ্যমিকে সপ্তম স্থান পাওয়ার পরে অঙ্কন জানাল,”নিজের ইচ্ছে মতোই ৬/৭ ঘন্টা প্রতিদিন পড়াশোনা করত সে।শরীরচর্চা করত সে।তার এই সাফল্যের জন্য পরিবার থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকা বন্ধু-বান্ধবেরাও সহযোগিতা করেছে বলেছে জানায়।ভবিষ্যতে গবেষক বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে সে।”
অঙ্কনের মা দেবিকা জোয়াদ্দার বলেন,”ছেলের সাফল্যের দারুন খুশি।ওর বাবা বেঁচে থাকলে ভীষণ খুশি হত।ওর এই সাফল্যের জন্য সকলের অবদান রয়েছে,তাদেরকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।” গঙ্গারামপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রাহুল রায় জানিয়েছেন, সাফল্যে স্কুল গর্বিত হয়েছে। উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।” রাজ্যে সম্ভাব্য সপ্তম স্থান অধিকার করায় অঙ্কিতের এমন সাফল্যে তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন গঙ্গারামপুর পৌরসভা চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত কুমার দাসও।তারা বলেন,”রাজ্য তথা শহরের মুখ উজ্জ্বল করেছে ও। পৌরসভার তরফে সম্মান জানানো হবে। অঙ্কনের পাশে সব সময় থাকবে পুরসভা।”
