গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক এক অস্থায়ী কর্মীর গালে সপাটে চর মারার ঘটনায় সমস্ত কর্মীরা হাসপাতালে সমস্ত কাজ বন্ধ করে দিয়ে পথ অবরোধে নেমেছে, শোরগোল এলাকায়
শীতল চক্রবর্তী ,গঙ্গারামপুর, ৭ সেপ্টম্বর ,দক্ষিণ দিনাজপুর———-হাসপাতালের এক চিকিৎসক অস্থায়ী কর্মীর গালে সপাটে চর মারার ঘটনায় কাজ বন্ধ করে দিয়ে পথ অবরোধ করে আন্দোলনে নামল সমস্ত অস্থায়ী কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বুলোর বেলা ১২টা নাগাদ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীদের অভিযোগ, আমরা যতসামান্য টাকা বেতন নিয়ে সকলের জন্য পরিষেবা দিয়ে থাকি। আমাদের পরিবারের আত্মীয় স্বজনদের হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে এসে কি হয়েছে তা জানতে চাইতেই সপাটে মহিলা চিকিৎসক কোয়েল বাগচী সপাটে চারটে গালে চর মারলেন তিনি বলে তাঁরা অভিযোগ করেন। চিকিৎসক ক্ষমা না চাইলে আন্দোলন চলতে থাকবে বলে তাঁরা হুমকি দিয়েছেন। অভিযুক্ত চিকিৎসক বিষয়টি অস্বীকার করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান, ও পুলিশ বিষয়টি মেটানোর চেষ্টা চলছে। ঘটনায় শোরগোল এলাকাজুড়ে
গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতাল সুত্রে যানা গিয়েছে, মোট ১১০ জনের বেশি অস্থায়ী কর্মীরা যতসামান্য বেতনে কাজ করে থাকেন বহুদিন ধরেই। অস্থায়ী কর্মীদের সংগঠন সুত্রে যানা গিয়েছে, তাঁরা সব সময় হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসক সহ মহিলা অস্থায়ী কর্মীরা নার্সদের সঙ্গে যেমন তাঁরা সহযোগীতা চান তা দেওয়া হয়ে থাকে তাদের তরফে।
বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ গঙ্গারামপুর থানার সয়রাপুর এলাকার বাসিন্দা তথা অস্থায়ী কর্মী তুলসি সিং তাঁর বৌদি গর্ভবতি থাকায় তিনি অসুস্থতাবোধ করতে থাকেন। তখন তাঁকে হাসপাতালের এমারজেন্সি ওয়ার্ডে গিয়ে অস্থায়ী কর্মী তুলসি সিং মেডিসিন অফিসার কোয়েল বাগচীকে দেখান। অস্থায়ী কর্মী তুলসি সিং জানতে চান, তাঁর বৌদিকে আল্টাস্রোগ্রাফি করতে হবে কি? একথা বলা মাত্রই হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী তুলসি সিং এর উপরে চরম ক্ষেপে ওঠেন ওই চিকিৎসক বলে তুলসি সিং অভিযোগ করেন।
তুলসি সিং এর অভিযোগ, এক দুকথা বলি সেই সঙ্গে আমি ওনাকে হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী বলা মাত্রই তিনি আমার গালে সপাটে দুটি চর মারেন। আপনি আমাকে মারছেন কেন একথা বলতেই তিনি রেগে গিয়ে জানান, আপনি কি চিকিৎসক নাকি?একথা বলার পরেই তিনি আমার গালে আরো দুটি চর মারেন। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা হাসপাতালের সমস্ত অস্থায়ী পুরুষ ও মহিলা কর্মীরা কাজ বন্ধ করে দিয়ে হাসপাতালের সামনে অবরোধ করি।চিকিৎসক ক্ষমা না চাইলে আন্দোলন চলতে থাকবে।
হাসপাতালের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী ঝর্ণা দাস অভিযোগ করে বলেন, বিনা কারণে শুধু আমাদের দোষ দিতে থাকেন। আমরা যদি সকলকে পরিষেবা দিতে পারি,আর আমাদের পরিবারের সদস্যরা আসলে তাঁর জন্য চিকিৎসকের হাতে পার খেতে হবে এটা মেনে নিতে না পরেই আন্দোলনে সামিল হয়েছি।
এলাকার এক বাসিন্দা বাবাই দত্ত অভিযোগ করে বলেন, চিকিৎসক অন্যায় করেছেন। এমন বিষয় মেনে নেওয়া যায় না।
যদিও অভিযুক্ত চিকিৎসক কোয়েল বাগচী তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালের তরফে ও গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ অস্থায়ী কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের কর্মবিরতি তুলে দেওয়া ও পথ অবরোধ তুলে দেবার চেষ্টা করছে।
মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান গৌতম দাস জানিয়েছেন, আমিও সুপার সাহেবকে বলেছি যেন তাঁরা বিষয়টি বসে মিটিয়ে নেয়। পরিষেবা যেন সেখানে সচল থাকে।
জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে জানিয়েছেন,বিষয়টি শুনেছি। খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমন ঘটনায় ব্যপক শোরগোল পরেছে হাসপাতাল সহ গঙ্গারামপুর শহরজুড়ে ।