গঙ্গারামপুর থানার বিদ্দেশ্বরী এলাকায় মহাধুমধাম সহকারে বিদ্দেশ্বরী কালীর পুজো অনুষ্ঠিত হল,ভক্তদের ভিড় হল ব্যপক।

0
420

শীতল চক্রবর্তী,গঙ্গারামপুর ২২ মে দক্ষিণ দিনাজপুর:-প্রতি বছরের মত এবছরও মহাধুমধাম সহকারে বিদ্দেশ্বরী মা কালীর পুজো অনুষ্ঠিত হল।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার বিদ্দেশ্বরী এলাকায় জ্যোস্ট মাসের প্রথম সোমবার মায়ের মন্দিরের স্থানে রবিবার গভিররাত থেকেই মাকালী পুজোর আয়োজন করা হয়। সেখানে উত্তরবঙ্গের বহু ভক্তরা তাঁদের মনবাসনা পূর্ণ হয় বলেই ছাগবলি, পাইরা, মিস্টিভোগ বাতাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের জিনিশ মায়ের চরনে অর্পন করেন। মায়ের পুজোকে ঘিরেই এলাকায় ৭দিন ধরে বিরাট আকারে মেলা বসে। বিদ্দেশ্বরী মা কালীর ইতিহাস নিয়ে বিস্তারিতভাবে জানালেন প্রাক্তন প্রধান থেকে শুরু করে মন্দিরের সেবাইতেরা।মনোবাসনা পূর্ণ হয় বলেই মায়ের এখানে আসি।পুজো ও মেলার প্রথম দিনেই ভিড় হয়েছিল রেকর্ড পরিমানে।

 

    আজ থেকে ৬০/৭০বছর আগের কথা,বর্তমানে গঙ্গারামপুর থানার বিদ্দেশ্বরী এলাকাটি ঘনজঙ্গলে ভরে ছিল।তাঁর পাশপাশ দিয়ে কিছু মানুষজন বসবাস করে থাকতেন।মন্দিরের সেবাইত ও এলাকার বাসিন্দা তথ্য জাহাঙ্গিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের কাছ থেকে যানা গিয়েছে যে,বিদ্দেশ্বরী এলাকার পাশ দিয়েই বয়ে চলা পূণর্ভবা নামে বিরাট আকারে নদীটি।সেই সময় বিদ্দেশ্বরী এলাকার এক বাসিন্দা স্বপ্নাদেশ প্রায় যে পুণর্ভবা নদী দিয়ে একটি কাঠ ভেসে যাচ্ছে।সেই কাঠটি দিয়ে বিদ্দেশ্বরী মা কালীর একটি মুখা মূর্তি তৈরি করে তোরা যদি স্থান দিস তাহলে এলাকার মানুষজনের মঙ্গল হবে। সেই সময় ওই ব্যাক্তি নদীতে গিয়ে দেখতে পান সেই কাঠটি নদীতে ভেসে চলে যাচ্ছে।তখন তিনি সেটিকে নদী থেকে তুলে নিয়ে এসে বিদ্দেশ্বরী মা কালীর একটি মুখা মুর্তি তৈরি করেন।সেদিনের দিনটি ছিল জ্যোন্ট মাসের প্রথম সোমবার।সেই দিন থেকেই পুজো শুরু হয়। যা বর্তমান সময় পর্যন্ত মহাধুমধাম সহকারে পুজো হয়ে আসছে। জ্যোস্ট মাসের প্রথম রবিবার গভিররাত থেকে মা বিদ্দেশ্বরী কালী মাতার পুজোর আয়োজন করা হয়।যা সোমবার সকাল হয়ে যায় পুজো হতে হত। সেখানে আরো কয়েকটি দেবদেবীর পুজো অনুস্টিত হয় সমস্ত নিয়ম মেনেই। সেখানে উত্তরবঙ্গের বহু ভক্তরা তাঁদের মনবাসনা পূর্ণ হয় বলেই ছাগবলি, পাইরা,মিস্টিভোগ বাতাসা, থেকে বিভিন্ন ধরনের জিনিশ মায়ের চরনে অর্পন করেন।সোমবার সকাল থেকেই বিরাট আকারে মেলা বসে সেখানে চলে ব্যপক পরিমানে বেচাকেনাও।

  এলাকার বাসিন্দা তথা স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ধীরেন্দ্রনাথ সরকার,ও বিদ্দেশ্বরী মা কালী পুজোর মন্দিরের সেবাইত , মেলা কমিটির সহ-সম্পাদক নিরঞ্জন সরকারেরা জানিয়েছেন,মায়ের বহু ইতিহাস রয়েছে।ভক্তদের মনবাসনা পূর্ণ হয় বলেই তাঁরা এখানে ছুটে আসে। মেলা চলবে কয়েকদিন ধরেই।

 মেলাতে আসা ভক্ত প্রশেনজিৎ দাস ও আরেক ভক্ত জানালেন, মনের বাসনা পূর্ণ হয় বলেই প্রতিবছর মায়ের পুজোর দিনে ছুটে আসি। 

  পুজো ও মেলার প্রথম দিনেই ভিড় হয়েছিল রেকর্ড পরিমানে।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here